দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হলিউডের খ্যাতিমান অভিনেত্রী কেট উইন্সলেট। আলোচিত ‘টাইটানিক’ সিনেমার নায়িকা তিনি। সোনালি চুলের এই তারকা দর্শক মহলে স্থান করে নেন সেই ‘টাইটানিক’ সিনেমা দিয়ে। টাইটানিকে কেট উইন্সলেটের চুল রহস্য এবার ফাঁস হলো।
টাইটানিকে তার অর্থাৎ রোজের (কেট উইন্সলেট) চুলের রং ছিল লাল। বাস্তবে এই হলিউড অভিনেত্রীর চুলের রং কিন্তু সোনালি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি চুল নিয়ে বিশেষ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন।
কেট উইন্সলেট সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে, তার চুলের আসল রং ফিরে পেতে তাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে প্রায় দুই বছর সময় ধরে। ‘যদিও রোজের চুলের রং কী হবে, চিত্রনাট্যে স্পষ্ট করে বলা ছিল না। সেই চুলের রং নিয়ে পরিচালক জেমস ক্যামেরনের সঙ্গে আমার আলাপের কথা স্পষ্ট মনে রয়েছে। তিনি জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, ‘তুমি কী মনে করো, যদি আমরা চুলের রং লাল করি? এই লাল হবে তীব্র এবং অস্বাভাবিক।’
লাল চুলের সেই রোজ এক সময় সারা বিশ্বের দর্শক হৃদয়ে রোমান্সের রং ছড়িয়েছিল। কে জানতো, সিনেমায় অভিনয়ের পরে সেই স্বর্ণকেশ ফিরে পেতে তাকে অপেক্ষা করতে হবে আরও প্রায় দুই বছর।
তিনি বলেন, ‘বুঝিনি, শ্যুটিংয়ের পরে আসল চুল ফিরে পেতে এতোটা কষ্ট পেতে হবে।’
কেট আরও বলেন যে, ‘আমার চুল আসলেও ঢেউ খেলানো নয়। প্রতিদিনই আমাকে চুলে ভাঁজ আনতে হতো। তবে চুলের ভাঁজ ঠিক রাখা অসম্ভব হয়ে পড়তো। কারণ হলো, সেটজুড়েই ছিলো পানি আর পানি। অনেকগুলো পানির ট্যাংকে শ্যুটিংও করি। প্রায়ই চুলে পানি লেগে যেতো। প্রত্যেক দিনই চুল ঠিক রাখতে সমস্যায় পড়ে যেতাম।’
উল্লেখ্য যে, টাইটানিক যখন মুক্তি পেয়েছিলো, তখন কেটের বয়স ২১ বছর। সেই সময় তাকে নিয়ে গণমাধ্যমের চুলচেরা বিশ্লেষণ তাকে মানসিকভাবে পীড়া দিয়েছিল। সে কথা স্মরণ করে এখনও তিনি শিউরে ওঠেন। তাই সিনেমাটি মুক্তির পর নিজেকে গুটিয়ে ফেলা শুরু করে দেন কেট।
তিনি জানিয়েছেন, তখন রাত-দিন যেনো এক হয়ে গিয়েছিল। ব্যক্তিগত জীবন এবং দৈহিক গড়ন আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়েছিল।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।