দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অশ্লীলতা এবং অত্যধিক সহিংসতা থাকার কারণে প্রদর্শনের অযোগ্য বিবেচিত হয়েছে সিনেমা ‘সাহস’। সম্প্রতি সিনেমাটি দেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সদস্যরা।
সেন্সর বোর্ডের সদস্যরা বলছেন, অসংলগ্ন একাধিক দৃশ্য থাকায় এটি কর্তন বা সংশোধনেরও কোনো সুযোগই নেই। এমন ঘটনায় অবাক এবং বাকরুদ্ধ হয়েছেন সিনেমাটির নির্মাতা সাজ্জাদ খান।
চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান জসীম উদ্দীন সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমরা এই সিনেমাটি দেখেছি। প্রায় সব সদস্যই সেখানে উপস্থিতও ছিলেন। সবার মতামতেই সিনেমাটি প্রদর্শন-অযোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে। গল্পে একাধিক অশ্লীল এবং অসংলগ্ন সংলাপ রয়েছে। প্রচুর গালিগালাজ রয়েছে। বেশ কিছু দৃশ্যে তরুণদের সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ড এবং হত্যাকাণ্ড দেখানো হয়েছে, যা একেবারেই সেন্সর বোর্ডের আইনবিরোধী কাজ। সিনেমাটি তরুণদের অপরাধ করতে আরও উৎসাহিত করবে। এসব কারণে সম্মিলিত সিদ্ধান্তে এটি বাতিল করা হয়।’
সিনেমাটি কর্তনের কোনো সুযোগই পাবে না। সেন্সর বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, পরিচালক বা প্রযোজক চাইলে পুনরায় সিনেমাটি নির্মাণ করে তারপর জমা দিতে পারেন। কটি দৃশ্য ও কী ধরনের সংলাপের কারণে সিনেমাটি বাতিল করা হয়েছে, এ প্রশ্নের জবাবে সেন্সর বোর্ডের সদস্য মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেছেন, ‘এখন সিনেমা এমনিতেই হচ্ছে কম। আমরা সব সময় চাই সিনেমাগুলো সেন্সর পাক। তবে “সাহস” সিনেমায় এমন কিছু রয়েছে যে বাধ্য হয়েই প্রদর্শন-অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। কেনো করা হয়েছে, সেটি আমাদের বলা নিষেধ।’
সেন্সর বোর্ডের অপরএক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ‘সিনেমাটি দেখে আমাদের কাছে মনে হয়েছে যে, এটি আমাদের দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে। একজন তরুণ নির্মাতার বোঝা উচিত ছিলো সিনেমাটি কোন দৃশ্য দর্শকমনে কী প্রভাব ফেলতে পারে। যা ইচ্ছা তা-ই আমরা সমাজের জন্য যেমন কখনও ভাবতে পারিনা, তেমনি সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ড দর্শকের ওপর অপ্রয়োজনে চাপিয়েও দিতে পারি না।’
সিনেমাটির নির্মাতা সাজ্জাদ খান শুনেছেন, সেন্সর বোর্ডে তাঁর সিনেমাটি প্রদর্শন-অযোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে। তাঁর দাবি হলো, সিনেমায় এমন কোনো দৃশ্যই নেই, যা প্রদর্শন-অযোগ্য। খুব বেশি অশ্লীলতা থাকার প্রশ্নও ওঠে না। তিনি বলেছেন, ‘সিনেমায় আমি একজন নারীর ঘুরে দাঁড়ানোকেই দেখিয়েছি। সব বাধা পেছনে ফেলে যে শুধুই এগিয়ে যায়। গল্পের প্রয়োজনে কিছু তরুণের সংলাপও পরিবেশ অনুযায়ী রাখা হয়েছে। এটাতে কিছুটা অশ্লীল মনে হতে পারে। সেটা আমাকে সংশোধন করার সুযোগ দিলেই কৃতজ্ঞ থাকতাম। সেন্সর বোর্ডের ওপর আমার শ্রদ্ধা এবং সম্মানও রয়েছে। তাদের চিঠি পেলেই সম্পূর্ণটা জানতে পারবো। তখন পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।’
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।