দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ৩০ জুনের পর রেজিষ্টারবিহীন মোবাইল হ্যান্ডসেট বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণার পর মানুষের শংকা সৃষ্টি হয়েছে। তবে শেষমেষ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে যে, ৩০ জুনের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে সব সেট।
মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে সার্বিকভাবে শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্যই ১ জুলাই থেকে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) চালু করছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
এনইআইআর’র তালিকায় যেসব ফোন থাকবে না সেগুলো অবৈধ হিসেবেই গণ্য করা হবে। গত বুধবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) স্পেকট্রাম বিভাগের পরিচালক ড. মো. সোহেল রানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
অবৈধ ফোনগুলো আর চালু করা যাবে না বলে জানায় বিটিআরসি। তবে যাদের কাছে ইতিমধ্যেই অবৈধ ফোন সেট চালু রয়েছে তাদের সময় দেবে বিটিআরসি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয় যে, ‘বর্তমানে মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত হ্যান্ডসেটুগুলো আগামী ৩০ জুনের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই নিবন্ধিত হবে। যে কারণে ১ জুলাই থেকে সেটগুলো বন্ধ হবে না।’
এতে করে বোঝা যাচ্ছে যে, ৩০ জুন পর্যন্ত দেশের সব হ্যান্ডকেই বৈধতা দেওয়া হবে। ১ জুলাই হতে যারা নতুন সেট কিনবেন তাদেরকে অবশ্যই রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। অর্থাৎ ১ জুলাই এর পর হতে আর কোনো অবৈধ ফোন সেট ব্যবহার করা যাবে না।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশে মোবাইল ফোন গ্রাহক সংখ্যা ১৬ কোটিরও বেশি। মোবাইল ফোন গ্রাহকদের চাহিদা পূরণের জন্য প্রতিবছর বিদেশ হতে প্রায় ১.৫ কোটি মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানির পাশাপাশি কর ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবেও হ্যান্ডসেট আমদানির অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিনের। সরকার এইসব অবৈধ হ্যান্ডসেটগুলো যাতে ব্যবহার না করা যায় সেই বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরেই উদ্যোগ নিচ্ছেন। কিন্তু আমাদের দেশে যেমন অবৈধ হ্যান্ডসেট রয়েছে, তেমনি বিদেশ থেকে আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকে প্রাপ্ত ফোন সেটও রয়েছে অনেক। সে কারণেই এই বিষয়টি বিবেচনায় রেখে সেটগুলোর বৈধতা দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ভবিষ্যতে বিশেষ করে বিদেশ হতে আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকে প্রাপ্ত ফোন সেটগুলো কিভাবে রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আসবে সেই বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।