দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এই সময় তাই যে কোনো প্রয়োজনে ৩৩৩ নম্বরে ডায়াল করে সেবা নিতে পারেন। করোনার লক্ষণ দেখা দিয়ে কি করতে হবে সেটির পরামর্শ নিতে পারে ৩৩৩ নাম্বারে কল করে।
সংকটকালীন বর্তমান পরিস্থিতিতে মাত্র একটি ফোন কলেই পাওয়া যাবে জরুরি স্বাস্থ্য সেবা ও ত্রাণ সামগ্রী। জাতীয় কলসেন্টার ৩৩৩ এ কল করে যে কেও যে কোনো সময় নিতে পারবেন এই সেবা। যারা বাসায় অবস্থান করছেন তাদের জন্য রয়েছে সরাসরি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ ও কর্মহীন মানুষের জন্য রয়েছে সরকারি ত্রাণ সুবিধাও।
বাংলাদেশের যে কোনো মোবাইল বা টেলিফোন থেকে ৩৩৩ নম্বরে ডায়াল করে দেশের যে কোনো প্রান্ত হতে অর্থাৎ ৬৪টি জেলায় অবস্থিত বিভিন্ন সরকারি কার্যালয়, সরকারি বিভিন্ন তথ্য সেবা, বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার প্রতিকার, সরকারি কর্মকর্তাদের তথ্য ও জেলা ও পর্যটন সম্পর্কিত তথ্যও পাবেন নাগরিকরা। তাছাড়া বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার সমাধান করার ব্যাপারেও সাহায্য চাইতে পারবেন এই নম্বরে কল করে।
এই হেল্পলাইনটি দিন-রাত ২৪ ঘন্টা এবং সপ্তাহে ৭ দিনই ব্যবহার করা যাবে। প্রবাসীরাও চাইলে দেশের বাইরে থেকে এই সেবা নিতে পারবেন যে কোনো সময়। সে জন্য তাদেরকে বিদেশ থেকে বাংলাদেশের জন্য 09666789333 নম্বরে ডায়াল করতে হবে।
তাছাড়া যারা কোভিড পজিটিভ হবেন তাদেরকে কল করতে হবে না। স্ব স্ব কোভিড হাসপাতাল থেকেও ফোন দিয়ে রোগি সম্পর্কে জানা এবং পরামর্শ দিচ্ছে। যাদের কোভিড পজেটিভ আসছে তারা কিভাবে ঘরে থাকবেন, কিভাবে চলবেন, কি খাবেন না খাবেন সব কিছুই জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, ২০১৮ সালের ১২ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় বাংলাদেশের সরকারি কল সেন্টার নম্বর ৩৩৩ হেল্পলাইনের। অবশ্যও এর আগে ১ বছর পরীক্ষামূলকভাবে চলছিল ৩৩৩ তথ্যসেবা নম্বরটি। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে সব শ্রেণীর মানুষের মাঝে সরকারি সেবা এবং তথ্য পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই ‘সরকারি তথ্য ও সেবা সব সময়’ স্লোগান নিয়ে ৩৩৩ নম্বর চালু করা হয়। ৩৩৩ নম্বরে কল করলে প্রতি মিনিটে ভ্যাট এবং সারচার্জসহ ৭৩ পয়সা করে খরচ হবে।
৩৩৩ কল সেন্টারের কার্যক্রমে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রবি ও কলসেন্টার সেবাদাতা কোম্পানী জেনেক্স।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।