দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কখায় বলা হয়, ‘অল্পতেই বুড়ি’। অর্থাৎ বয়স কখনও থেমে থাকে না। নদীর স্রোতের মতোই বয়স পেরিয়ে যায়। তাহলে কিভাবে আপনি আপনার বয়সকে ধরে রাখবেন? আজ আলোচনা করা হবে সেই বিষয়টি।
বয়স ২০ পেরিয়ে ২৫ বা ৩০ হয়েছে, আর তাতেই দেখতে চল্লিশোর্ধ মনে হচ্ছে আপনাকে! প্রকৃত অর্থে চল্লিশোর্ধ না হওয়ার পরও অনেককেই এরকম দেখাতে পারে। তবে যাই হোক না কেনো মানুষ কিন্তু চায় তার বয়স যতোই হোক তাকে দেখতে যেনা যুবক বা যুবতীর মতোই মনে হয়।
ত্বকে বলিরেখা, চুল পেকে যাওয়া কিংবা চোখের নিচে কালি পড়ার জন্য অনেককেই এমন দেখা যায়। এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, স্ট্রেসের জন্য অনেক সময় দেহের এই ছাপগুলো কমবয়সেই দেখা দিয়ে থাকে। এছাড়াও জীবনযাত্রার মানের তারতম্য হলেও, অধিক পরিমাণ ফোন-কম্পিউটারে সময় ব্যয়, মদ্যপান এবং ধূমপানের জন্যও এমনটা হতে পারে। তবে কিছু নিয়ম-নীতি মেনে চললে বয়সকে ধরে রাখা যাবে অনায়াসে।
কলা
কলায় ভিটামিন, পটাসিয়াম এবং আয়রণও রয়েছে। শরীরে শক্তি সঞ্চার করতে কলার জুড়ি নেই। নিয়মিত কলা খাওয়ার কারণে শরীরে সহজেই ক্লান্তি দূর হয়। শুষ্ক ত্বকের জন্য অনেক উপকারী কলা।
দুধ
প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামে ভরপুর দুধ। এটি নিয়মিত ডায়েটে রাখার জন্য বলেন বিশেষজ্ঞরা। এটি নিয়মিত খাওয়ার কারণে হাড় ও পেশী মজবুত রাখে। শরীরও সব সময় হাইড্রেট থাকে। সেই সঙ্গে ত্বকের বলিরেখা দূর করতে সহায়তা করে থাকে।
ওটস
ওটস এই উপাদানটিতে ফাইবারের পরিমাণ অনেক বেশি পরিমাণে থাকে। এটি হজমশক্তি বৃদ্ধি করে ও শরীর চাঙা রাখতে সাহায্য করে। যে কারণে দৌড়ঝাঁপ করার পরও শরীর কখনও ক্লান্ত হয় না। সে কারণে নিয়মিত ব্রেকফাস্টে ওটস খাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
ডার্ক চকলেট
ক্যাফেইন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে এই ডার্ক চকলেটে। এটি কখনও চেহারায় বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। সেইসঙ্গে শক্তি বৃদ্ধিও করে। সে কারণে মিষ্টির পরিবর্তে ডার্ক চকলেট খাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলুতে ভিটামিন-এ রয়েছে। উপাদানটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ত্বক ছাড়াও চোখের জন্য খুবই উপকারী ভিটামিনি-এ। তাই সালাদের সঙ্গে নিয়মিত মিষ্টি আলু খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।