দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোরবানী সম্পর্কে আমাদের অনেক কিছুই অজানা রয়েছে। যার মধ্যে একটি হলো অনেকেই এই প্রশ্ন করেন যে, সাময়িক ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি কী কোরবানি করতে পারবেন? এই বিষয়টি আজ তুলে ধরা হলো।
কোরবানী সম্পর্কে আমাদের অনেক কিছুই অজানা রয়েছে। যার মধ্যে একটি হলো অনেকেই এই প্রশ্ন করেন যে, সাময়িক ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি কী কোরবানি করতে পারবেন? এই বিষয়টি আজ তুলে ধরা হলো।
প্রশ্ন : নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক যদি কোরবানীর সময় সাময়িকভাবে ঋণগ্রস্ত হন তাহলে তার ওপর কী কোরবানী ওয়াজিব হবে?
উত্তর : নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক যদি কোরবানীর দিনগুলোতে সাময়িক ঋণগ্রস্ত থাকেন, যা পরিশোধ করে দিলে তার কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদ বাকি থাকবে না, তাহলে তার ওপর কোরবানী ওয়াজিব হবে না।
যদি ঋণ আদায় করার পরও নেসাব পরিমাণ সম্পদ বাকি থাকে তাহলে তার ওপর কোরবানী করা ওয়াজিব হবে। (বাদায়েউস সানা’য়ে ৪/১৯৬; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২৯২)
প্রকৃতপক্ষে কোরবানীর নেসাব হলো : স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে ৭ ভরি। রুপার ক্ষেত্রে সাড়ে ৫২ ভরি। অন্যান্য বস্তুর ক্ষেত্রে সাড়ে ৫২ ভরি রুপার সমমূল্যের সম্পদ (টাকার অঙ্কে যা আনুমানিক ৫৫ হাজার টাকা) যদি থাকে।
স্বর্ণ বা রুপার কোনো একটি যদি পৃথকভাবে নেসাব পরিমাণ না হয়ে থাকে, তাহলে স্বর্ণ-রুপা উভয়টি মিলে বা এর সঙ্গে প্রয়োজন-অতিরিক্ত অন্য বস্তুর মূল্য মিলে সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপার সমমূল্যের হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে কোরবানী করা ওয়াজিব হবে।
স্বর্ণ-রুপার অলঙ্কার, নগদ অর্থ, যে জমি বার্ষিক খোরাকির জন্য প্রয়োজন হয় না ও প্রয়োজন অতিরিক্ত আসবাবপত্র- এই সবই কোরবানীর নেসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
এই ক্ষেত্রে প্রয়োজনের অতিরিক্ত টাকা-পয়সা, সোনা-রুপা, অলঙ্কার, বসবাস এবং খোরাকির প্রয়োজনে আসে না এমন সমস্ত জমি, প্রয়োজনের অতিরিক্ত বাড়ি, ব্যবসায়িক পণ্য এবং অপ্রয়োজনীয় সব আসবাবপত্র, পোশাক-পরিচ্ছেদ, আসবাবপত্র, তৈজসপত্রও ধর্তব্য বিবেচিত হবে। সেই সম্পদের ওপর এক বছর অতিক্রম হওয়া শর্ত নয়। তথ্যসূত্র: https://www.deshebideshe.com
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।