দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হারারেতে সিরিজের একমাত্র টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ২২০ রানে হারালো বাংলাদেশ। হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে পঞ্চম দিনের চা বিরতির আগেই স্বাগতিকরা গুটিয়ে যায় ২৫৬ রানে।
টাইগারদের সাফল্যে দুর্দান্ত অবদান রাখা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন। তার শেষ এবং ৫০তম টেস্ট ম্যাচটি জয়ে রাঙালো বাংলাদেশ।
সাফল্যের দিক থেকে জিম্বাবুয়ের চেয়ে এগিয়ে গেলো বাংলাদেশ। ১৮ টেস্টে বাংলাদেশের জয় ৮টিতে এবং জিম্বাবুয়ে জিতেছে ৭ বার। আর ড্র হয়েছে ৩টি টেস্ট।
এবার জয়ের সুবাস বাংলাদেশ পেয়েছিল চতুর্থ দিনে। জিম্বাবুয়েকে ৪৭৭ রানের বিশাল লক্ষ্য দিয়ে পড়ন্ত বিকেলে ব্রেন্ডন টেলর (৭৩ বলে ৯২) এবং কাইটানোকে (১০২ বলে ৭) ফিরিয়ে আসল কাজটা সেরে রেখেছিল সফরকারীরা।
খেলার পঞ্চম দিনের সকাল বেলায় উইকেট পেতে অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘক্ষণ। একের পর এক সুযোগ আসতে থাকে, তবে ক্যাচ মিসের মহড়ায় কাজে লাগাতে পারেনি সফরকারীরা। শেষ পর্যন্ত মেহেদী হাসান মিরাজের জোড়া আঘাতে ফুরোয় প্রতীক্ষা।
দিনের দ্বিতীয় ঘণ্টার শুরুর এক ওভারে জিম্বাবুয়ের দুটি উইকেট নিয়ে জয়ের মঞ্চ তৈরি করে ফেরে টাইগার অফস্পিনার। সাজঘরে পাঠানো হয় ডিওন মেয়ার্স ( ২৬) ও টিমিসেন মারুমাকে (০)। এরপর উইকেট দখলের মিছিলে যোগ দেন তাসকিন। টাইগার পেসার সাজঘরে পাঠান রয় কাইয়াকে (০) এবং রেগিস চাকাভাতে (১)।
এভাবেই একের পর এক সাজ ঘরে পাঠিয়ে ষোলকলা পূর্ণ করে বাংলাদেশ। তবে শেষ জুটিও বাংলাদেশকে কম ভোগায়নি। মুজারাবানি এবং এনগ্রাভা ৩৩ বল মোকাবেলা করেন। মুজারাবানি ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন ও এনগ্রাভা মিরাজের বলে বোল্ড হলে দারুণ এক জয়ের আনন্দ নিয়ে মাঠ ছাড়েন টিম বাংলাদেশ।
৪৭৭ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়ে চতুর্থ দিন শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে তুলেছিল মাত্র ১৪০ রান। পঞ্চম দিন ত্রিপানো এবং মেয়ার্স প্রথম ঘণ্টা কাটিয়ে দেন হারারের ২২ গজেই। দ্বিতীয় ঘণ্টায় অর্থাৎ লাঞ্চ বিরতির আগে মিরাজ-তাসকিনের জোড়া শিকারে জয়ের সুবাস পেতে থাকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
ক্যাচ মিসের কারণে ৩টি সুযোগ হেলায় হারায় বাংলাদেশ দল। তার মাশুল অবশ্য দিতে হয়নি, সহজেই ফেরানো গেছে প্রতিপক্ষের মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যানদেরকে। তবে টেলএন্ডারে যারা ছিলেন, তাদেরকে সাজঘরে পাঠাতে ঘাম ছুটে গেছে টাইগার বোলারদের।
বাংলাদেশ : ৪৬৮ ও ২৮৪/১ (ইনিংস ঘোষণা)
জিম্বাবুয়ে : ২৭৬ ও ২৫৬
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।