দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফ্যাশনের জন্য কিংবা প্রয়োজনে অনেকেই চশমা ব্যবহার করে থাকেন। যাদের চোখে পাওয়ারের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য চশমা পরা বাধ্যগত কাজ হিসেবেই ধরা হয়। চশমার ফ্রেম কোন মুখে কেমন হবে? আজ সেটি জেনে নিন।
অনেকেই নিজের মধ্যে স্টাইলিশ লুক আনতেও ব্যবহার করে থাকেন চশমা। তবে কোন মুখে কেমন ফ্রেমের চশমা মানায় তা যদি বুঝতে না পারেন তাহলে আপনার লুকে স্টাইলিশ ভাব একদমই আসবে না। বরং দেখতে আরও বিশ্রী লাগবে। তাই আপনার মুখের সঙ্গে কেমন ধরণের ফ্রেম মানাবে তা বুঝে নেওয়া জরুরি। তবে আজ দেখে নেওয়া যাক কোন আকারের মুখে কেমন ফ্রেমের চশমা মানানসই হতে পারে।
গোলাকৃতি মুখের জন্য চশমা
গোলাকৃতি মুখের জন্য এমন ধরণের ফ্রেমের চশমা ব্যবহার করা উচিত যা ওই মুখটিকে আরও বেশি গোল না দেখায়। সে জন্য গোল ফ্রেমের চশমা এবং ছোট ফ্রেমের চশমা থেকে দূরে থাকুন। আয়তাকার কিংবা চারকোণা ফ্রেমের চশমা ও পুরু ফ্রেমের চশমা গোল মুখের সঙ্গে বেশ ভালো মানাবে।
চারকোণা মুখের জন্য কেমন চশমা
চারকোণা আকৃতির মুখে সব চাইতে বেশি মানায় হলো গোল চশমা, ক্যাট আই এবং কার্ভড ধরণের ফ্রেমের চশমা। কারণ এই আকারের চশমাগুলো চোয়ালের চারকোণা ভাবটা দূর করে মুখের ভারসাম্য বজায় রাখে। চারকোণা মুখের ওপরে সমান ফ্রেম, পুরু ফ্রেম এবং চারকোণা আকারের ফ্রেম মোটেও মানানসই নয়।
ডিম্বাকৃতি মুখের জন্য যেমন চশমা
ডিম্বাকৃতি মুখের সবচাইতে ভালো সুবিধাই হলো যে কোনো আকারের ফ্রেম মানিয়ে যাওয়া। গোল, চারকোণা যে কোনো ফ্রেমের চশমা ব্যবহার করতে পারেন এই আকারের মুখের অধিকারীরা। এতে করে বেশ ভালোই দেখাবে। তবে খুব ছোট এবং অনেক বড় আকারের ফ্রেম এড়িয়ে চলাই ভালো।
লম্বাটে মুখের জন্য যে চশমা
লম্বাটে মুখের জন্য এমন ফ্রেমের প্রয়োজন যা মুখের লম্বাটে ভাব কিছুটা হলেও দূর করতে পারে। তাই একটু বড় আকারের চশমার ফ্রেম বেঁছে নেওয়ায় ভালো। ছোট আকারের ও চারকোণা ফ্রেমের চশমা কখনও নেবেন না।
হার্ট আকৃতির মুখের জন্য যে চশমা
হার্ট আকৃতির মুখের সমস্যায় হলো কপাল একটু বড়ই থাকে মুখের নিচের অংশের তুলনায়। তাই হার্ট আকৃতির মানুষের জন্য এমন ফ্রেমের চশমা দরকার যা কপাল হতে দৃষ্টি সরিয়ে নিতে সক্ষম। সে জন্য চারকোণা, আয়তাকার এবং ক্যাট আই ফ্রেম একদম মানিয়ে নেওয়া যায়। তবে ওপরে ও নিচে সমান আকারের ফ্রেম ব্যবহার করবেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।