দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে লাইফ সাপোর্টে থাকা গণসঙ্গীতশিল্পী ফকির আলমগীরের চিকিৎসার জন্য মেডিক্যাল বোর্ড গঠিত হচ্ছে।
আজ সোমবার (১৯ জুলাই) সকালে ইউনাইটেড হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সমন্বয়ে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হবে বলে জানান তার ছেলে মাশুক আলমগীর রাজিব।
ইতিপূর্বে গতকাল রবিবার (১৮ জুলাই) রাত ১০টার দিকে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা।
রাজীব জানিয়েছেন, বাবার অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৪৫–এ নেমে এলে চিকিৎসকরা ভেন্টিলেশনে নেওয়ার পরামর্শ দেন। ভেন্টিলেশনে নেওয়ার পর হতে অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯০–এ উন্নীত হয়েছে।
গত ১৪ জুলাই ফকির আলমগীরের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। এর একদিন পরই ১৫ জুলাই জ্বর ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ফকির আলমগীরের ফুসফুস ৬০ শতাংশ সংক্রমিত।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ছিলেন ফকির আলমগীর। তার আগে, ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী এবং গণশিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানেও অসামান্য অবদান রাখেন তিনি। স্বাধীনতার পরবর্তী সময় পপ ঘরানার গানে যুক্ত হন ফকির আলমগীর। সংগীতে অবদানের জন্য ১৯৯৯ সালে তিনি একুশে পদকে সম্মানিত হন এই গুণি শিল্পী।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।