দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ লকডাউনের কারণে ঘরে বসে সময় কাটছে না? তো চিন্তার কিছু নেই। ঘরে বসে এই লকডাউনে ঘরের কোণে সাজিয়ে তুলুন সবুজের সমারোহ।
আমাদের মধ্যে অনেকেই ঘরে একটু সবুজের সমারোহ রাখতে চান। ইন্ডোরের পরিবেশ এতে দেখতে যেমন সুন্দর লাগে সেই সঙ্গে চোখেও আরাম পাওয়া যায়। তাছাড়াও লকলকডাউনের কারণে এখন দিনের বেশিরভাগ সময় কাটে ঘরের মধ্যে। তার ওপর মুডের আপ-ডাউন তো লেগেই রয়েছে। এই অবস্থায় মনকে ভালো রাখা সত্যিই খুব কঠিন হয়ে পড়ছে।
তাই মনোবিদরা বলেছেন, মনকে ভালো রাখার নানা উপায় বের করুন। কাজের বাইরেও ব্যস্ত হয়ে থাকুন, তাহলে দেখবেন মন ভালো থাকবে। এ ব্যাপারে গাছের সঙ্গে বন্ধুত্ব করাটাই ভালো থাকার খুব সহজ পদ্ধতি। এই বন্ধুত্ব তো ঘরের ভিতর থেকেই হতে পারে খুব সহজেই।
অনেকেই তাদের ছোট্ট-মাঝারি ফ্ল্যাটে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে ঘরের মধ্যে বা ছোট্ট বারান্দায় বাগান তৈরি করছেন। কেও কেও আবার জানলার পাশেই নানা পদ্ধতিতে গাছ লাগিয়ে শোভা বাড়িয়ে তুলছেন। তবে ঘরে রাখা গাছের যত্নের দিকে একটু বেশিই নজর দিতে হয়। আলো-পানির বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে সব সময়।
ঘরের সবুজ সমারোহ ভালো রাখতে যা যা করবেন:
# প্রতিদিন নিয়মিতভাবে টব পরিষ্কার করুন। শুকনো পাতা কখনও টবে জমতে দেবেন না।
# প্রতিদিন গাছে পানি দেবেন না। বরং একদিন বাদে একদিন পানি দেওয়ায় ভালো।
# আপনাকে মাঝে-মধ্যেই গাছের ডালপালা ছেঁটেও দিতে হবে। এতে করে গাছের গোড়া যেমনিভাবে শক্ত হবে, আবার বাড়বেও খুব দ্রুত।
# ইচ্ছে করলে সপ্তাহে একবার অল্প করে কাঁচা দুধ গাছের গোড়ায় দিলে গাছের গোড়া আরও হবে শক্ত।
# কাপড় পানিতে ভিজিয়ে মাঝে-মধ্যে পরিষ্কার করুন গাছের পাতা। আবার কাঁচা দুধ তুলোতে ভিজিয়েও গাছের পাতা মুছে দিতে পারেন। এতে করে তরতাজা থাকবে গাছ।
# কাঁচা দুধের মধ্য়ে কিছুটা হলুদ মিশিয়ে গাছের গোড়ায় দিয়ে দিতে হবে। এতে করে গাছে পোকামাকড় আক্রমণ করতে পারবে না।
# গাছের টবে যেনো পোকামাকড় না আসে সেদিকে সব সময় লক্ষ্য রাখতে হবে।
# চা বানানোর পর যে চা পাতা পাতিলে থাকে সেটি গাছের গোড়ায় দিতে পারেন।
# তরকারির উচ্ছিষ্ট অংশ গাছের গোড়ায় দিতে পারেন। এগুলো পচে সার হয়ে যায়।
# বাজার থেকে খোল (সরিষার তেল হতে প্রাপ্ত) কিনে এনে তা কয়েকদিন ভিজিয়ে রেখে গাছের গোড়ায় দিতে পারেন। এতে গাছ তরতাজা হবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।