দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জীবন ও মৃত্যু এ সবকিছুই মহান সৃষ্টিকর্তার হাতে। অথচ বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, মানুষ কতদিন বাঁচতে পারবে তা একটি টেস্টের মাধ্যমে জানা যাবে!
জোতিষি বিদ্যায় অনেক কিছুই বলা হয়ে থাকে। জোতিষীরা বলেন, মানুষের হায়াত-মৌতের কথা। কিন্তু বাস্তবে গিয়ে সে ভবিষ্যৎবাণী কতখানি কাজে আসে তা আমরা অনেকেই অবগত। কারণ মহান সৃষ্টিকর্তা মানুষের হাতে সে সুযোগ দেননি। বিজ্ঞানের বদৌলতে অনেক কিছু সম্ভব হলেও মানুষকে কেও চিরদিন বাঁচিয়ে রাখতে পারেননি। এটাই সৃষ্টি জগতের এক লীলা।
অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে, ‘ডেথ টেস্ট’ নামে একটি বিশেষ পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যাবে জীবনের ব্যাপ্তি। বিজ্ঞানীরা এমন দাবিই করেছেন। চামড়ার ওপর হাতঘড়িসদৃশ ব্যথামুক্ত লেজার পালস স্থাপন করে এ পরীক্ষা করা হয়। এন্ডোথেলিয়াল কোষ বিশ্লেষণ করে এ যন্ত্র জানান দেয়, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের দেহ কীভাবে ক্ষয়প্রাপ্ত হবে। আমাদের দেহের ক্ষুদ্র রক্তনালি ও কৈশিক নালি এন্ডোথেলিয়াল কোষে গঠিত। শরীরের যে কোনো স্থানে জটিল কার্যক্রম সম্পাদন করে থাকে এ কোষ।
ডেথমিটারে এ কোষের স্পন্দন পরিমাপ করে বিজ্ঞানীরা মৃত্যুর আগে মানুষের জীবনের দৈর্ঘ্য পরিমাপে সমর্থ হয়েছেন বলে দাবি করেছেন। এ পদ্ধতিতে ক্যান্সার ও মানসিক রোগের পরীক্ষা করতেও তারা সক্ষম হয়েছেন বলে সানডে টাইমস পত্রিকার প্রতিবেদনে জানা গেছে।
এই মিটার শূন্য থেকে ১০০ গ্রেড পর্যন্ত ব্যক্তির অবশিষ্ট জীবনকাল নির্দেশ করে। ব্যক্তি সম্পর্কে যত বেশি উপাত্ত দেওয়া যায়, তত নির্ভুলভাবে এ যন্ত্র ফল জানায়। আগামী তিন বছরের মধ্যে ব্যবহারকারীর জন্য আরও সুবিধাজনক করে যন্ত্র তৈরি করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। সূত্র :জিনিউজ অনলাইন।