দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঘরে গাছ রাখা অনেকেরই পছন্দ। অনেকেই আবার গাছ লাগিয়ে নিজের ঘরকে ছোট-খাটো বাগানও বানিয়ে ফেলেন। ঘরের গাছে পোকামাকড়ের উপদ্রব সৃষ্টি হয় এমনও অনেকের ধারণা। সেটি মোটেও ঠিক নয়। বরং কিছু গাছে দূর হতে পারে ঘরের পোকামাকড়।
ঘরে নিদিষ্ট কিছু গাছ রাখলে আপনি পেতে পারেন পোকামাকড়ের যন্ত্রণা হতে মুক্তি। তাহলে আজ জেনে নিন কোন কোন গাছ আপনার ঘরের পোকামাকড় দূর করতে পারবে।
পুদিনা পাতার গাছ
আমরা সবাই পুদিনা পাতা সাধারণত খাবার হিসেবেই ব্যবহার করে থাকি। তবে খাবারের স্বাদ ছাড়াও এই পাতার রয়েছে আরও বেশ কিছু গুণাগুণ। পুদিনা পাতা ঘরের মশা দূর করতে পারে।
নিম গাছ
নিম গাছকে বলা হয়ে থাকে ঘরের চিকিৎসক। নিমের গুণাগুণ বলে শেষ করা যাবে না। তবে যদি আপনি ঘরে একটি নিম গাছ রাখেন তাহলে সেই নিম গাছটি আপনার পরিবারের যত্ন নেবে। আপনার ঘরে ছারপোকা, তেলাপোকাসহ নানা প্রকার পোকা দূরে রাখতে ওস্তাদের মতো কাজ করবে এই গাছটি।
গাঁদা ফুলের গাছ
গাঁদা ফুল দিয়ে আমরা অনেকেই ঘর সাজায়। সাধারণত শীতকালে অনেকের বাড়িতে গাঁদা ফুলের গাছ পুঁতে রাখে। তবে কখনও আপনার যদি মনে হয় যে, গাঁদা ফুল শুধুমাত্র সৌন্দর্যের কারণেই ব্যবহার করা হয়ে থাকে তা কিন্তু নয়, গাঁদা ফুল গাছের উপকারিতা রয়েছে অনেক। এই গাছে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যার ফলে এই গাছের কাছে মশা ও অন্যান্য পোকামাকড় একেবারেই ভিড়তে পারে না।
তুলসি পাতার গাছ
তুলসি পাতার গুণাগুণের কথা আমাদের অনেকের জানা। এই তুলসি তাতা মূলত একটি ভেষজ গাছ। ‘তুলসি’ অর্থ হলো যার কোনো তুলনা নেই। এটি মূলত সর্দি, কাশিসহ নানা অসুখের মহৌষধ। তবে বিশেষ করে কফের প্রাধান্যে যে সব রোগ সৃষ্টি হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে তুলসি খুব ফলদায়ক। তুলসী গাছ ঘরে থাকলে তেলাপোকার যন্ত্রণা থেকে আপনি খুব সহজেই মুক্তি পেতে পারেন।
বেসিল পাতা
বেসিল পাতা খুব একটা পরিচিত পাতা নয়, এটি সাধারণত খাবারের স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে কেবলমাত্র খাবারের স্বাদ বাড়ানোই নয়, মশা-মাছি দূর করতেও সাহায্য করে এই গাছ।
তাই এই গাছগুলো আপনি ঘরে রাখতে পারেন। তবে এইসব গাছগুলো সবই ঘরে রাখার মতো হলেও একটি গাছ একটু ব্যতিক্রম। যেমন নিম গাছ। এটি সাধারণ বড় হয়ে থাকে। তবে আপনি ইচ্ছে করলে খুব ছোট চারা গাছ এনে ঘরে রাখতে পারবেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।