দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ লিওনেল মেসিকে নিয়ে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করেছে ফ্রেঞ্চ ফুটবল ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)।
এদিকে ফুটবল বিশ্বের বড় তারকাকে পেয়ে নিজেদের ভাগ্যবান মনে করছেন ক্লাব সভাপতি। নতুন ক্লাবে নতুন করে শুরুর প্রত্যয়ও ছিলো লিওনেল মেসির কন্ঠে।
আজ বুধবার (১১ জুলাই) সকাল হতেই প্যারিস শহর যেনো রঙিন সাজে সেজেছিলো। সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন পিএসজি সভাপতি কাতারের ধনকুবের নাসের আল খেলাইফি। মুখে তার তৃপ্তির হাসি। কারণ তার পাশেই বসে রয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফুটবল তারকা। মেসিকে পেয়ে নিজের উচ্ছাসের কথা অকপটেই স্বীকারও করেন খেলাইফি।
‘এটি সত্যিই একটা দারুণ মুহূর্ত, ঐতিহাসিক মুহূর্ত। মেসিকে আমরা সত্যিই এখানে হাজির করতে পেরেছি। সে ফুটবলকে যেনো জাদুতে পরিণত করেছে। তাকে পেয়ে আমরা সত্যিই ভাগ্যবান মনে করছি।’
কঠিন শর্তের বেড়াজালে আটকে বন্দি বার্সা তাড়িয়ে দিলেও, মেসিকে সাদরে গ্রহণ করেছে ফ্রান্সের এই ক্লাব পিএসজি। তাই ক্লাবটার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পায় আর্জেন্টাই সুপারস্টারের কন্ঠে।
‘পথটা বেশ কঠিনই ছিল। সবকিছু খুব দ্রুতই ঘটেছে। আমি নিজেও প্রস্তুত ছিলাম না মোটেও। তবে পিএসজি সবকিছুই খুব সহজ করে দিয়েছে। এজন্য আমিও কৃতজ্ঞ।’
বার্সেলোনাকে ছেড়ে আসার কষ্টটা হয়তো কোনও দিনও ভুলতে পারবেন না মেসি। তবে এতো অল্প সময়ে প্যারিস যেভাবে আপন করে নিয়েছে তাকে, মাঠেই তার প্রতিদান দিতে চান বিশ্ব ফুটবলের এই জাদুকর।
‘প্যারিসে আবার সবকিছুই যেনো নতুন করে শুরু করতে হচ্ছে। তবে যা কিছুই হয়েছে তাতে আমি খুশি। নতুন টিমমেটদের সঙ্গে আমি মাঠে নামতেও প্রস্তুত। আমি আমার সামর্থের সেরাটাই দেবো।’ যোগ করেন ফুটবলের এই জাদুকর লিওনেল মেসি।
ক্যারিয়ারে তিনি চার দফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতেছেন। ইউরোপ সেরার খেতাব নিজের নামে লেখার চ্যালেঞ্জ নিয়ে ফ্রান্সে পা রেখেছেন বলেও জানান তিনি।
নিজের ৩০ নম্বর জার্সিটা আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করেন লিওনেস মেসি। ক্লাবের বাইরে থাকা হাজার হাজার সমর্থকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করার মাধ্যমে শেষে হয় আনুষ্ঠানিকতা।
উল্লেখ্য, বাসেলোনা থেকে বিদায় নেন এই ফুটবলের জাদুকর লিওনেস মেসি। বিদায়ের ঘণ্টার শব্দ না মিশতেই প্যারিসের পিএসজিতে যোগদানের ঘোষণা দেন। তাকে বরণ করার জন্য গতকাল থেকেই পুরো প্যারিস জুড়ে চলছিলো তোড়জোড়। প্যারিসবাসী মেসিকে এক নজর দেখার জন্য রাস্তায় নেমে আসেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।