দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার পরীমনি ইস্যুতে মুখ খুলেছেন সুপারস্টার শাকিব খান। দেশসেরা এই চিত্রতারকা নিজের অফিসিয়াল ফ্যান পেজে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে শাকিব খান উল্লেখ করেন যে, পরীমনিকে ঘিরে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি বিতর্কিত।
তিনি লিখেছেন, দেশের আইনের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রয়েছে। নিশ্চয়ই নিরপেক্ষ তদন্ত শেষে পরীমনির সঠিক বিচার হবে।
গতকাল (শনিবার) দুপুরে দেওয়া পোস্টের মাধ্যমে শাকিব খান জানিয়েছেন, খেয়ালও করছিলাম, অপেক্ষা করছিলাম। প্রত্যাশাও ছিল, বিপরীতে বেড়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। গত কয়েকদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে থেকে শুক্রবার আদালতের নির্দেশে পরীমনিকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।
শাকিবের সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘ধূমকেতু’ এবং ‘আরও ভালোবাসবো তোমায়’ নামে দুই সিনেমায় কাজ করেছেন পরীমনি। শাকিব লিখেছেন যে, সহকর্মী হিসেবে যতোদূর জানি পরীমনি বাবা-মা হীন। তার বেড়ে ওঠা পারিবারিকভাবে আর পাঁচটা তরুণ-তরুণীর বেড়ে ওঠা, স্ট্রাগলে যথেষ্ট পার্থক্যও রয়েছে। সঠিক দিকনির্দেশনার অভাবে সে হয়তো অনেক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
তিনি আরও লিখেছেন যে, ১০ আগস্ট আদালত চত্বরে পরীমনির শতবর্ষী নানা তার নাতনিকে এক নজর দেখতে ছুটে গিয়েছিলেন। করোনার এই ভয়াবহতা আটকাতে পারেনি তার বৃদ্ধ নানাকে, রক্তকে উপেক্ষা করতে পারেনি রক্ত। তবে সময় কি নিষ্ঠুর! পরীমনির সঙ্গে নাকি দেখাই হলো না বৃদ্ধ নানার। আদালত চত্বরেই পরীমনির নানাকে বলতে শুনেছি যে, “পরীমনি নিজের জন্য জীবনে কিছুই করেনি। সব মানুষের জন্য দান করে গেছে। এখন পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন।”
আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শাকিব বলেন যে, পরীমনির মামলা এখন বিচারাধীন রয়েছে। ওই বিষয়ে কিছুই বলছি না। সে যে মামলায় গ্রেফতার হয়েছে, তার কী অপরাধ সেটা বিশ্লেষণেও যাচ্ছি না। দেশের প্রচলিত আইন আদালতের প্রতি আমার শ্রদ্ধা রয়েছে। নিশ্চয়ই নিরপেক্ষ তদন্ত শেষে সঠিক বিচার হবে। তবে তার আগে পরীমনির জীবন ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে যেভাবে তাকে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে, এটা সত্যিই দুঃখজনক।
শাকিবের কথা হলো, আরও দুঃখজনক ঘটনা হলো, গত কয়েকদিন ধরে খেয়াল করছি শুধুমাত্র অভিযোগের ভিত্তিতে পরীমনি গ্রেফতারের পর তার প্রতি কোনো ধরণের সহযোগিতার হাত না বাড়িয়ে, দুঃসময়ে শিল্পীর পাশে না থেকে উল্টো তড়িঘড়ি করেই সংবাদ সম্মেলন করেছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। মুহূর্তে পরীমনির সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে! এ যেনো কাঁটা ঘায়ে নুনের ছিঁটে!
সমিতির এই আচরণ সত্যিই খুব রহস্যজনক। বিষয়টি নিয়ে বিবেকবান অনেক সিনিয়র জুনিয়র শিল্পী এবং সংস্কৃতিকর্মীদের আক্ষেপও রয়েছে। শিল্পীর সঙ্গে সংগঠনের এটি একটি অমানবিক আচরণ। প্রশ্ন থেকে যায়, এখনকার চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি তাহলে কাদের স্বার্থে? বিগতদিনেও একাধিক সিনিয়র শিল্পী এরচেয়েও ভয়ঙ্কর অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন। তবে তখনকার শিল্পী সমিতি অভিযুক্ত সদস্যের সদস্যপদ স্থগিত করেনি। বরং পাশেই ছিল, রাস্তায় নেমেছিল। তবে এখনকার শিল্পী সমিতির এসব আচারণ বিতর্কিত।
সমিতিকে ধুয়ে দিয়ে শাকিব আরও লিখেছেন, আবারও বোঝা গেলো, এই শিল্পী সমিতি সবাইকে এক করতে পারেনি, বরং আরও বিচ্ছিন্ন করেছে। বিভেদ তৈরি করে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের পরিবেশ নষ্ট করেছে। হয়তো এ জন্য চলচ্চিত্রের আজ এই দুর্দশা। এমনিতেই নানা ধরনের কারণে সিনেমা আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। তারমধ্যে এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে সামনে আরও ঘোর বিপদ।
প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণের ইঙ্গিত দিয়ে শাকিব লিখেছেন যে, যারা পরীমনিকে বিপথে নিয়ে গেছে, তাদেরকেও খুঁজে বের করা উচিত। পরীমনি ত্রিশটির বেশি সিনেমার সঙ্গে জড়িত বলে জানতে পেরেছি। তার হাতে রয়েছে আরও বেশ কিছু সিনেমা। তবে যারা বছরের পর বছর একটি সিনেমাতেও কাজ না করে দিনের পর দিন শিল্পী সাইনবোর্ড ব্যবহার করে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছেন তাদেরও আয়ের উৎসও খুঁজে বের করা উচিত।
সবশেষে শাকিব খান লিখেছেন যে, সহশিল্পী হিসেবে আশা রাখি, পরীমনির ক্ষেত্রে আইন তার স্বকীয়তা বজায় রাখবে। পরীমনি যখন ফিরবে তার ভুল থেকে শিক্ষাও নেবেন। যে শিক্ষা তার আগামী জীবনে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।