দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হাঁটু এবং হাতের কনুই হাত বা পায়ের রঙের চেয়ে কালো হয়ে থাকে অনেকের। আর এই কালো দাগ হাত-পায়ের সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়। ঘরোয়া উপায়ে হাঁটুর কালো দাগ দূর করুন।
সাধারণত সূর্যের আলো, অতিরিক্ত ওজন, বংশগত বৈশিষ্ট্য, শুষ্ক ত্বক, চর্ম রোগ বিভিন্ন কারণে হাঁটুতে কালো দাগ পড়ে যায়। এই দাগের জন্য অনেকেই অস্বস্তিতে পড়েন। দাগ দূর করার জন্য ব্যবহার করেন নানা রকম নামী দামী লোশন ও ক্রিম। অথচ সামান্য ঘরোয়া কিছু উপায়ে চিরবিদায় নিতে পারে হাঁটুর কালো দাগ।
কী সেই উপায়? জেনে নিন বিষয়গুলো:
লেবুর রস
লেবুর রস হলো সবচেয়ে সহজলভ্য ও কার্যকর উপায়। দিনে অন্তত দুইবার লেবুর রস হাঁটুর কালো দাগের স্থানে ঘষুণ। একটি তুলোর বলে লেবুর রস ভিজিয়ে হাঁটুর কালো দাগের স্থানে ১৫ হতে ২০ মিনিট ঘষুণ। এরপর পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। লেবুর রস ব্যবহারের আগে বা পরে কোনো ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করবেন না।
লেবুর রস ও বেসন
লেবুর রস ও বেসন মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। তারপর পেস্টটি চক্রাকারে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে স্ক্রাবিং করে নিন। শুকিয়ে গেলেই পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি হাঁটুর কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করবে।
বেকিং সোডা
মূলত হাঁটুর কালো দাগের জন্য মৃত চামড়াই দায়ী থাকে। সময়মতো চামড়া দূর করা না গেলে এটি এক সময় কালো রং ধারণ করে। বেকিং সোডা মৃত কোষ দূর করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে। তাই পানিতে বেকিং পাউডার মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। তারপর ওই পেস্টটি হাঁটুর কালো দাগের স্থানে ৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এটি ৭ হতে ১০ মিনিট ঘষুণ। এটি প্রতিদিনই ব্যবহার করুন। তারপর ময়শ্চারাইজ ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করুন।
নারকেল তেল
হাঁটুর কালো দাগের স্থানে ৫ হতে ৮ মিনিট নারকেল তেল ভালো করে ম্যাসাজ করুন। এছাড়াও নারকেল তেল ও লেবুর রস মিশিয়ে ম্যাসাজ করুন। এরপর পানি দিয়ে তা ধুয়ে ফেলুন।
সরিষা তেল
সরিষা তেলের সঙ্গে এক চিমটি লবণ মিশিয়ে নিন। তারপর এটি দিয়ে হাঁটুর কালো স্থানে ৫ হতে ৮ মিনিট ঘষুণ। এটি হাঁটুর কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
অলিভ অয়েল ও চিনি
সমপরিমাণ অলিভ অয়েল ও চিনি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি হাঁটুর কালো স্থানে কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করে ভালো করে লাগিয়ে নিন। তারপর হালকা সাবান পানি দিয়ে তা ধুয়ে ফেলুন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।