দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে সম্পর্কে অসম্মানজনক মন্তব্য করায় গ্রেফতার করা হয়েছিলো বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নারায়ণ রানেকে। ৮ ঘণ্টা হাজতবাসের পর শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছেন।
গত ২০ বছরের মধ্যে ভারতে কোনো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর গ্রেফতারের ঘটনা এটিই প্রথম। গত জুলাইতে ক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি শিল্প উদ্যোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হন নারায়ণ রানে। এই ঘটনায় বিজেপি ও শিবসেনা দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে ওঠে মুম্বাইসহ দেশটির বিভিন্ন এলাকা।
৮ ঘণ্টা হাজতবাসের পর অবশ্য শর্তসাপেক্ষে জামিন পান বিজেপিদলীয় ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নারায়ণ রানে। সামান্য বিষয়ে ‘মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে চড় মারা উচিত’ মন্তব্য করার পর বিষয়টি ঘিরে পুরো মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিষয়টি নিয়ে কোথাও কোথাও সংঘর্ষও শুরু হয়। এক পর্যায়ে নারায়ণ রানেকে গ্রেফতারও করা হয়। সংবাদ সংস্থা এএনআই এই তথ্য দিয়েছে।
জানা গেছে, গত সোমবার মুম্বাইয়ের সিন্ধুদূর্গে বিজেপির ‘জন আশীর্বাদ যাত্রা’ চলাকালে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধবকে চড় মারার হুমকি দেন নারায়ণ রানে। তিনি দাবি করেন যে, ১৫ আগস্টের বক্তৃতায় স্বাধীনতার সাল ভুলে গিয়েছিলেন উদ্ধব, তাই তাকে চড় মারা উচিত। সেই মন্তব্য ঘিরে পুরো রাজ্যজুড়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। রানের মন্তব্যের প্রতিবাদে রাস্তায় নামে শিবসেনারা। এক পর্যায়ের মন্ত্রী রানের বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর পাওয়া যায়, রানের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়। বিষয়টি নিয়ে গতকালই (মঙ্গলবার) সকাল থেকে মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে ওঠে। মুম্বাইয়ে শিবসেনা এবং বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতিও শুরু হয়। শিবসেনা সমর্থকরা বিজেপির কার্যালয়ে পাথর ছোড়েন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় রানেকে দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশ দেন নাসিকের পুলিশ কমিশনার দীপক পাণ্ডে।
বিষয়টি জানতে পেরে গ্রেফতার এড়াতে রত্নগিরির আদালতে জামিনের আবেদন করেন মন্ত্রী রানে। তবে আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেন। তারপর রানে মুম্বাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেখানেও বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি তিনি। তারপরই রত্নগিরি থেকে গ্রেফতার করা হয়ে মন্ত্রী রানেকে।
শিবসেনা সূত্রে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে গ্রেফতারের মাধ্যমে তারা বোঝাতে চেয়েছিলেন, কেওই আইনের ঊর্ধ্বে নন। নারায়ণ রােনে জামিন পাওয়ায় উভয় পক্ষই আর কোনো সমস্যাও নেই। তবে ভবিষ্যতে কেও যেনো এমন না করেন তাই এই দৃষ্টান্ত রাখলেন তারা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।