দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঘরের ফার্নিচারগুলো আপনার পরিবারের একটি অঙ্গ। আর পরিবারের সেই অঙ্গগুলোর যত্ন নেওয়ার দায়িত্ব কিন্তু আপনারই। আজ আলোচনা করা হবে কিভাবে ঘরের ফার্নিচারের যত্ন নেবেন।
গৃহের প্রাণ হলো আসবাবপত্র বা ‘ফার্নিচার’। তবে সেই আসবাবটি যদি হয় বেমানান তাহলে ঘরের পরিপূর্ণ সজ্জাতেও থেকে যাবে অপূর্ণতা। আপনার বাড়ির যে কোনো আসবাবের যত্ন যদি সঠিকভাবে করা না হয়, তাহলে সেইসব আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে যাবে। আর তখন নতুন করে কিনতে হবে ফার্নিচার। তাই প্রতিবছর নতুন আসবাব না কিনেও ঘরের সজ্জায় বজায় রাখা যায় এমন কিছু পদ্ধতি রয়েছে। আসবাবপত্রে যত্ন নিতে কিছু পদক্ষেপ নিলেই সে সমস্যা আর থাকবে না।
আজ জেনে নিন সেই বিষয়গুলো:
# আপনার ঘরের যে অংশটিতে রোদ পড়ে সেখানে কখনও কাঠের আসবাব রাখবেন না। এতে করে পলিশ এর রং হালকা হয়ে যেতে পারে কিংবা কাঠে ফাটল ধরার মতো নানা ধরনের সমস্যাও হতে পারে। কাজেই আসবাবপত্রের সামনে বা পেছনে কোনো দিকেই যেনো সরাসরি রোদ এসে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সেজন্য প্রয়োজনে জানালায় ভারি পর্দাও ব্যবহার করুন।
# আমাদের বাসস্থানেই আসবাবের একটি বড় শত্রু হিসেবে দেখা দেয় নানা রকম পোকামাকড়- যেমন কাঠকাটুনি কিংবা ঘুণপোকার মতো উপদ্রব। বিশেষ করে যাদের বাড়িতে কাঠের আসবাবের পরিমাণ বেশি তাদেরকে এই সমস্যায় পড়তে হয় প্রায় সময়। এক্ষেত্রে কাঠের আসবাবপত্রকে পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য তাতে হালকা নিমের তেল স্প্রে করতে পারেন, এতে উপকার হবে।
# আপনার ডাইনিং টেবিল হোক বা বসার ঘরের সেন্টার টেবিলই হোক, কখনই এগুলোতে সরাসরি গরম জিনিস কখনও রাখবেন না। টেবিল এর উপর কোনো ক্লথ কিংবা কাপড় না থাকলে কমপক্ষে একটি সাদা কাগজ বিছিয়ে তার উপর গরম জিনিস রাখুন। ঠিক সেইভাবে পানির গ্লাস কিংবা তরল কোনো কিছু রাখতেও একই ধরনের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
# আপনার ঘরের আসবাব বহুদিন পর পর বার্নিশ না করিয়ে বছরে, দেড় বছরে একবার করে বার্নিশ করার চেষ্টা করুন। এক্ষেত্রে পুরোনো বার্নিশ এর উপর নতুন প্রলেপ না দিয়ে পুরোনো বার্নিশ পুরোপুরিভাবে তুলে ফেলে বার্নিশ এর নতুন আস্তরণ দিন। এছাড়াও বার্নিশ এর পরিবর্তে নানা টেক্সচার এর উড কালার ব্যবহার করেও আসবাবে নতুনত্ব নিয়ে আসতে পারেন ইচ্ছে করলে।
# ঘরের কাঠের আসবাবের উপর প্রায়শই গোল রিং এর মতো দাগ পড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে প্রথমে দাগ পড়া স্থানটি ব্লটিং পেপার দিয়ে চেপে ধরতে হবে। এরপর ব্লটিং পেপার সরিয়ে অলিভ অয়েল কিংবা মেয়নেজ দিয়ে দাগের উপর ঘষে শুকনো করে তারপর মুছে নিন।
# আপনার ঘরের কাঠের আসবাবের উপর গরম কিছু রাখার কারণেও রং নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই এইক্ষেত্রে নরম কাপড়ে কর্পূর কিংবা স্পিরিট নিয়ে নির্দিষ্ট স্থানটিতে ভালো করে ঘষে দাগ তুলে ফেলুন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।