দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চিত্রনায়িকা পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালত এই আদেশ দেন।
দুপুর ২ টায় রাজধানীর বনানী থানায় দায়ের করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় পরীমনির জামিন আবেদনের শুনানি শুরু হয়। আদালতে জামিন আবেদনের শুনানি শুরু করে তার আইনজীবী মজিবুর রহমান বলেন, আসামিকে ৩ বার রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও জেল কাস্টডিতেও প্রায় ২৪ ঘণ্টার বেশি আটক রাখা হয়। তবে তার কাছ থেকে জিঙ্গাসাবাদে কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আমরা বলতে চাই এই আসামি শারিরীকভাবে খুবই দুর্বল, তিনি ভারটিগো রোগে আক্রান্ত। জেলে থাকার কারণে তিনি চুক্তিবদ্ধ অনেকগুলো সিনেমাও করতে পারছেন না। এছাড়াও আসামি একজন নারী যে কারণে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এর ৪৭ (১) (গ) মোতাবেক জামিন পেতে পারেন। জামিন পেলে তিনি কখনও পলাতক হবেন না। যে কোনো শর্তে জামিন দিলে আসামি মেনে নিবেন।
এই বক্তব্যের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষের মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু আদালতে বলেন, অভিযানে পরীমনির বাসা থেকে ১৮.৫ লিটার মদ পাওয়া যায়। এছাড়াও অনেক খালি বতল পাওয়া যায়। অভিযানের সময় লাইভ করে সময় নষ্ট করে আসামি মদ ঢেলে ফেলে দিয়েছেন। মাননীয় আদালত আরও ৪ গ্রাম ভয়ঙ্কর মাদকও আইস পাওয়া যায়। এই মাদকে অনেক আসামিই জামিন পাননি। আইন সবার জন্যই সমান। তাই আসামিকে কারাগারে আটক রাখা হোক। পরে বিচারক শুনানি শেষ করে পরীমনির জামিন আবেদনটি মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে গত ২২ আগস্ট তার জামিন শুনানির জন্য আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। তবে এতো দেরিতে শুনানির দিন রাখায় আদেশ চ্যালেঞ্জ করে দ্রুত জামিন শুনানির জন্য উচ্চ আদালতের দারস্থ হন পরীমনির আইনজীবীরা। তারপর ২৬ আগস্ট আসামির জামিন আবেদনের শুনানি এগিয়ে দুই দিনের মধ্যে করতে কেনো নির্দেশ দেওয়া হবে না? তা জানতে চেয়ে রুল দেন হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের নির্দেশেই রবিবার (২৯ আগস্ট) বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ পরীমনির জামিন শুনানি এগিয়ে ৩১ আগস্ট নতুন দিন ধার্য করেন। সেই তারিখ মোতাবেক আজ শুনানি এবং জামিন মঞ্জুর হলো।
উল্লেখ্য যে, গত ৪ আগস্ট বিকেলে বনানীর বাসায় প্রায় ৪ ঘণ্টা অভিযান শেষে পরীমনিসহ ৩ জনকে দেশী-বিদেশী মদের বোলত ও এলএসডি মাদকসহ আটক করা হয়। পরে বনানী থানায় র্যাব বাদী হয়ে পরীমনি এবং তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।