দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সুস্থ থাকার জন্য পরিপূর্ণ ঘুম সবারই প্রয়োজন। কারণ ঘুম সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে শরীরে শক্তি যোগাতে সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত ঘুম সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
পর্যাপ্ত না ঘুমানো যেমন স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ, ঠিক তেমনি প্রয়োজনের অতিরিক্ত ঘুমও ডেকে আনতে পারে ডায়েবেটিসহ বন্ধ্যাত্বের মতো মারাত্মক কিছু রোগ ব্যাধি।
চিকিৎকরা জানিয়েছেন, সেরোটোনিন হরমোনের সাহায্যে ঘুম নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। অতিরিক্ত ঘুম সেরোটোনিনের উপর নেতিবাচক প্রভাবও ফেলে, নিউরোট্রান্সমিটারকেও বাধাগ্রস্থ করে, সেই জন্য অনেকেই সকালে দেরিতে ঘুম থেকে ওঠার পরে মাথাব্যথার অভিযোগ করে থাকেন। এছাড়াও দীর্ঘ সময় ঘুমানোর পর হঠাৎ ক্ষুধা ও তীব্র তৃষ্ণা বোধও হয়, যে কারণে মাথাব্যথাও শুরু হয়ে যায়।
আবার অতিরিক্ত ঘুম ডিপ্রেশনেরও কারণ হতে পারে। স্লিপিং সাইকেল নষ্ট হয়ে গেলে উৎকণ্ঠা ও মানসিক চাপও সৃষ্টি হতে পারে।
আবার বেশি ঘুমানোর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে হতে পারে ক্লান্তি। অত্যধিক ঘুমে দেহঘড়ির স্বাভাবিক কাজকর্মও ব্যাহত হয়। অতিরিক্ত বিশ্রামের কারণে পেশী ও স্নায়ু শক্ত হয়ে যেতে পারে। যে কারণে শারীরিক চাপ নিতে সমস্যা হয়।
আবার অতিরিক্ত ঘুম হরমোনের উপরও প্রভাবও ফেলে। বিশেষ করে ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণকারী হরমোনগুলো এর দ্বারা বেশি প্রভাবিত হয়ে থাকে। বেশি ক্লান্ত বোধ করার কারণে শরীরে খুব কম শক্তিই থাকে, যে কারণে মানুষ সাধারণত জাঙ্ক ফুড কিংবা উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া শুরু করে দেয়। এই সব কারণে রক্তে শর্করার মাত্রাও বেড়ে যায়। যে কারণে ডায়েবেটিস হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।
এ ছাড়াও বেশি ঘুমানোর খারাপ প্রভাব নারীদের ফার্টিলিটির উপরও পড়ে থাকে। এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন থেরাপিতে থাকা নারীরা যারা ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমান তাদের গর্ভধারণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। আর যারা ৬ ঘণ্টা বা তার কম ঘুমান তারা তাদের সন্তান ধারণের সম্ভাবনা ৪৬ শতাংশ ও যারা ৯ থেকে ১১ ঘণ্টা ঘুমান তাদের সন্তান ধারণের সম্ভাবনা থাকে মাত্র ৪৩ শতাংশের মতো।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।