দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আলমারি গোছানো বেশ ঝামেলার একটি কাজ। কারণ বিভিন্ন কাপড়ের বিভিন্ন রকম সাইজ রয়েছে। যে কারণে এগুলো গুছিয়ে রাখা বেশ দুষ্কর একটি কাজ। আজ জেনে নিন আলমারি গুছিয়ে রাখার কিছু নিয়ম।
আপনি যতোই মাথা খাটিয়ে বের করুন না কেনো, শাড়িগুলো এভাবে রাখবেন, ব্লাউজ রাখবেন খাপের মধ্রে পুরে, জিনস ও টপ পৃথক পৃথক করে গুছিয়ে রাখবেন, গোছানোর কিছুদিন পরেই দেখবেন সব আবার এলোমেলো হয়ে গেছে! তাছাড়া মহিলাদের আলমারিতে স্বাভাবিকভাবেই পুরুষদের তুলনায় একটু বেশি কাপড় থাকে।
এমন অনেকেই আছেন যারা জামাকাপড় কেনার ব্যাপারে যতোটা আগ্রহী, তার ছিটেফোঁটাও থাকে না আলমারি গোছানোর ক্ষেত্রে। যে কারণে কাজের সময় কিছুই খুঁজে পাওয়া যায় না, তাই বেশি করে পোশাক কিনতে হয়। আলমারি অগোছালো রাখলে বেশি জামা থাকুক বা কমই থাকুক, কাজের সময় কিছুই তখন পাওয়া যায় না।
একটু সময় করে আলমারিটা গুছিয়ে ফেলুন ঝটপট। দেখে নিন আলমারি গোছানোর কিছু নিয়ম যেনো কাজটি আরও সহজ হয়ে যাবে।
আলমারি গোছানোর আগে যা করবেন
আলমারি খালি হলে একটা শুকনো কাপড় নিয়ে তাকগুলো ভালো করে মুছে ফেলুন। অনেক সময় আলমারির দরজার কোণে ধুলো-ঝুল জমে থাকে। সেগুলোও ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। কারণ হলো এখান থেকেই পরে পোকামাকড়ের উপদ্রব বাড়তে থাকবে।
নিশ্চিত করুন আলমারিতে কি আছে
অনেক সময় দেখা যায়, জামাকাপড় এক আধবার পরার পর আমরা আলমারিতে তুলে রাখি। অভ্যাসটা নিঃসন্দেহে একটি খারাপ বিষয। ঘাম ও ময়লা অন্য পোশাকের স্বাস্থ্যহানির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। প্রতিটি পোশাক যেনো ধোয়া ও ইস্ত্রি করা রয়েছে কি না, সেটি দেখতে হবে। একই ধরনের রঙের পোশাক একসঙ্গে ভিজিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। ডিটারজেন্টের মানের ব্যাপারেও কোনও সমঝোতা কখনও করবেন না। তাতে কাপড়ের মান বজায় থাকবে।
প্রথমে আলমারি পুরো খালি করে সব জামাকাপড় খাটের উপর ডাঁই করে রাখুন। কী-কী পোশাক আলমারিতে রাখবেন এবং কোনগুলি রাখবেন না, সেগুলোর একটি লিস্ট তৈরি করুন। যেমন, বাড়িতে রোজকার পরার বেশিরভাগ পোশাকই হয় আলনায়, নয়তো অন্য কোনও ওয়ার্ডরোবে রাখি। ভালো পোশাক রাখুন আলমারিতে।
সব ধরনের পোশাক পৃথক করে স্ট্যাক করুন
দেখুন, কোন পোশাক সবচেয়ে বেশি জায়গা দখল করবে। এখানে একটা মজার বিষয় রয়েছে। শাড়ি সংখ্যায় কম হলেও, জায়গা নেয় বেশি এবং টপস ও কুর্তি সংখ্যায় বেশি হলেও জায়গা নেয় অনেক কম! সে কারণে সংখ্যা দেখে ভুলবেন না, জায়গা কোনটা বেশি নিচ্ছে সেটিই দেখুন। শাড়ি ঝুলিয়ে রাখতে চাইলে যথেষ্ট সংখ্যক হ্যাঙ্গার রয়েছে কিনা তা দেখে নিন। হ্যাঙ্গার কিনবেন সব সময় প্লাস্টিকের, কাঠের হ্যাঙ্গার বেশি জায়গা দখল করে! পুরনো বেশিদিন ধরে ব্যবহার করা পোশাক ও নতুন পোশাক পৃথক করে রাখুন।
জিনস, টি-শার্ট, টপ ভাঁজ করে রাখুন
আপনার যতো টি-শার্ট, টপ বা ব্লাউজ রয়েছে, সব ভাঁজ করুন সুন্দরভাবে, ভাঁজের উপর দিয়ে ইস্ত্রি চালিয়ে নিলেই ভালো করবেন। জিনস ঝুলিয়ে রাখতে পারলে আরও ভালো হয়, তবে তাতে জায়গা লাগে বেশি। তাই ভাঁজ করে রাখতে পারেন।
নিটেড টপ ও সোয়েটার ঝুলিয়ে রাখবেন না
নিটেড টপ ও সোয়েটারও ঝুলিয়ে না রেখে ভাঁজ করেই রাখাই ভালো। তা না হলে সেগুলোর আকার আরও খারাপ হয় যেতে পারে। ন্যাপথলিন বল ছোট-ছোট মখমলের কাপড়ে পুঁটুলি বাঁধুন। এবার তাকের বিভিন্ন জায়গায় সেগুলো গুঁজে রাখুন। যে পোশাকগুলো আপনি সাধারণতই বাইরে যাওয়ার সময় পরেন, সেগুলো অবশ্যই হাতের কাছের তাকে রাখুন। তবে যেগুলো কালেভদ্রে পরার প্রয়োজন পড়ে, সেগুলো রাখুন নীচের বা উপরের দূরের কোনো তাকে।
আলমারির দরজায় মাল্টি ইউটিলিটি হ্যাঙ্গারও ঝুলিয়ে রাখতে পারেন ওড়না বা স্কার্ফ ঝুলিয়ে রাখার জন্য। আলমারির হ্যাঙ্গার ঝোলানোর তাকটিতে যেখানে আপনি শাড়ি ঝোলাবেন, তার তলায় বেশ কিছুটা জায়গা খালি থেকে যাবে। এখানে ব্লাউজের খাপে ব্লাউজ পুরে রাখতে পারেন। এই ধরনের খাপেই আবার রাখতে পারেন অন্তর্বাস।
আর আলমারির ড্রয়ার ব্যবহার করতে পারেন কস্টিউম জুয়েলারি রাখার কাজে। নীচের তাকে, যেখানে ভালো শাড়ি বা অন্য পোশাক রাখবেন, তার একপাশে আপনি সাজিয়ে রাখুন আপনার ব্যাগের সম্ভার। আলমারির লকারেই সাধারণত দামি গয়না রাখা হয়। আপনার জরুরি কাগজপত্রও সেখানেই রাখতে পারেন। ময়েশ্চারের সমস্যা দূর করার জন্য আলমারির তাকে ছোট-ছোট সিলিকা জেলের প্যাকেট রাখুন।
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
This post was last modified on সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১ 3:30 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বপ্ন দেখে তা মনে রাখা সত্যিই দুষ্কর। আর তাই রাতের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩০ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’- এর অন্যতম সমন্বয়ক…