দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক। সুস্থ্য থাকতে হলে খাদ্যাভাসের পরিবর্তন করা জরুরি। বিশেষ করে যাদের বয়স চল্লিশোর্ধ তাদের খাদ্যাভাস পরিবর্তন করতে হবে।
আপনি হয়তো ভাবতে পারেন, আপনিতো প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর খাদ্য খাচ্ছেন। কিন্তু সেই খাদ্যে আপনার কতখানি উপকারে আর অপকারে আসছে তা দেখা দরকার। বয়স হয়ে যাবার পর আমরা অনেকেই পুরনো জীবনে ফিরে যেতে চাই। তবে শুধু নস্টালজিক হলেই তো চলবে না। চাইলে বয়সকে আটকে রাখতে পারেন আপনি। আর সেই সূত্র লুকিয়ে আছে আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়।
প্রথমত নিজেদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় প্রোটিনযুক্ত খাবার যোগ করতে হবে। নন ভেজিটেরিয়ানদের ক্ষেত্রে মুরগি, ডিম আর সামুদ্রিক মাছ ছাড়াও সবজির দিকে মনযোগী হতে হবে। নিয়মিত সবজির সাথে যোগ হবে ফ্যাটবিহীন দুধ, লস্যি ও চিনাবাদামের মাখন।
বয়স ৩৫ হলে পেটের নাড়িভুঁড়িতে ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে। এতে হজমে মন্থরগতি ও পেট স্ফীত হয়ে যায়। দুগ্ধজাত বা প্রোবায়োটিক খাবার গ্রহণে এ অবস্থা হয়। তাই এসব পরিহার করুন।
বয়স বাড়তে থাকলে ত্বকে শুষ্কতা বাড়ে। প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজারের অভাবে তৈল গ্রন্থিগুলো ছোট হয়ে যায়। ফলে ত্বকে রুক্ষতা ও বলিরেখা দেখা দেয়। তাই সুষম খাবার খেতে হবে। সবজির মধ্যে পটাশিয়াম ও জিঙ্ক সমৃদ্ধ মটরশুটি, শীমের বিচি খেতে পারেন। বড় আকারের বাধাকপি, বেরি, পাম ফল, নাশপাতি ও বাদাম জাতীয় ফল কেতে পারেন। ত্বকের তারুণ্য বজায়ে এসব ফল রাখতে যথেষ্ট সাহায্য করে।
যেকোনো খাবারের মধ্যে আমরা হালকা খাবার খেয়ে থাকি। যা ক্যালোরি সৃষ্টি করে আমাদের মুটিয়ে যেতে সহযোগিতা করে। তাই খাবারের মধ্যে হালকা খাবার যেমন আইসক্রিম, চিপস, চকলেট খাওয়া কমাতে হবে। তবে এর পরিবর্তে ফল খাওয়া যেতে পারে।
আমরা সবজি বলতেই গুণের আধারে চেতনা হারাই। কিন্তু সবগুলোর প্রতিক্রিয়া একরকম হয় না। কালচে রঙের যেকোন শাকপাতা হাড়ের ক্ষয়রোধ ও দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। গাজর, টমেটোতে অ্যান্টি অক্সিডেন্টের উপস্থিতি বয়সের চাপ রোধে সাহায্য করে। তবে অ্যান্টি এজিং হিসেবে সবচেয়ে কার্যকর ভিটামিন সি যুক্ত খাবার। তথ্যসূত্র: deshebideshe.com