দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গাছের বৃদ্ধিতে যেমন সার দিতে হয় এবং করতে হয় পরিচর্যা। ঠিক তেমনি চুলের বৃদ্ধিতেও চাই নিয়মিত যত্ন।
কিছু সাধারণ উপায়ে চুলের বৃদ্ধি দ্রুত করা সম্ভব। এই বিষয়ে ভারতীয় অ্যারোমাথেরাপিস্ট এবং রূপবিশেষজ্ঞ ডা. ব্লসম কোচারের ওয়েবসাইটে দেওয়া পরামর্শগুলো অনুসরণ করতে পারেন। এগুলো কার্যকর তবে জটিল কিছু নয়।
রেড়ীর তেল বা ক্যাস্টর অয়েল: ক্যাস্টর অয়েল ‘রাইসিনোলিক’ অ্যাসিড ও ওমেগা-সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ যেটি মাথার ত্বকে মালিশ করলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং চুলের বৃদ্ধিও দ্রুত হয়।
ভালো ফলাফলের জন্য এক চা-চামচ ক্যাস্টর অয়েলের সঙ্গে এক চা-চামচ কাঠ-বাদাম এবং জলপাইয়ের তেল মিশিয়ে মাথার ত্বকে ১০ হতে ১৫ মিনিট মালিশ করতে পারেন। এরপর ২০ মিনিট সময় রেখে তারপর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার ব্যবহারে চুলের বৃদ্ধি দ্রুত ঘটতে পারে।
খাবারের প্রতি মনোযোগ: আপনি কি খাচ্ছেন সেদিকে মনযোগ দেওয়া উচিত। দৈনিক খাবারে ৫০ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করা দরকার। ওজন কমাতে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন কিংবা দৈনিক খাবার তালিকায় প্রোটিনের স্বল্পতা থাকলেও চুল পড়া, চুল পাতলা হওয়া এবং চিকন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। সে কারণে প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে ডাল-জাতীয় খাবার, ডিম এবং মাংস খাওয়া দরকার।
পেঁয়াজের রস: পেঁয়াজ সালফেট সমৃদ্ধ একটি জিনিস। তাই চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে। পেঁয়াজের কড়া গন্ধের দিকে মনোযোগ না দিয়ে বরং এর গুণাগুণে দিকেই মনোযোগ দিতে হবে। পেঁয়াজের গন্ধের অস্বস্তি মেনে নিয়ে যদি উপকার পাওয়া যায়, তবে মাথার ত্বকে পেঁয়াজের রস মাখাই উত্তম।
অ্যাপল সাইডার ভিনিগার: মুখের ত্বকের মতো মাথার ত্বকও নিয়মিত স্ক্রাব করা দরকার। এতে করে মৃত কোষ দূর হয় এবং চুলের পিএইচ’এর ভারসাম্যও বজায় থাকে। চুলের বৃদ্ধিতে অ্যাপল সাইডার ভিনেগার কার্যকর একটি জিনিস। চাইলে পানও করতে পারেন। এটা ত্বক এবং চুল দুয়ের জন্যই খুব উপকারী।
তাছাড়াও এই ভিনিগার মিশ্রিত পানি দিয়ে চুল ধুয়েও নিতে পারেন। তবে এর অতিরিক্ত ব্যবহার চুল পড়া আবার বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ভালো ফলাফল পেতে হলে সপ্তাহে দুবার ব্যবহার করাই ভালো।
মাথা মালিশ: চুলের বৃদ্ধিতে মাথার ত্বক মালিশ করা চমৎকার একটি কাজ করে। চাইলে তেল দিয়ে বা তেল ছাড়াই মাথা মালিশ করতে পারেন। মাথার মাঝাখান হতে শুরু করে আপনাকে চুলের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত মালিশ করতে হবে। এটি মাথার মাঝখানের অংশে গোলাকারভাবে ২৫ বার মালিশ করতে হবে। তারপর তিন আঙুল দিয়ে কিছুক্ষণ পর আবারও ২৫ বার মালিশ করুন।
এমনিভাবেই কানের পাশের হাড় পর্যন্ত করতে হবে। যে কোনো সময় ৫ থেকে ৭ মিনিট এভাবে মালিশ করলে উপকার পাওয়া যাবে। এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে, চুল স্বাস্থ্যকর এবং লম্বা করতে সহায়তা করে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।