দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছে, গ্রাহকের একটানা ৩ দিন ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকলে সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ওই মাসে গ্রাহকের কাছ থেকে কোনো সেবামূল্য বা ইন্টারনেট বিলই নিতে পারবে না বলে।
গত সপ্তাহে বিটিআরসির পক্ষ থেকে সব ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের (আইএসপি) কাছে পাঠানো এক নির্দেশনায় এই কথা জানানো হয়েছে। বিটিআরসি জানিয়েছে যে, গত ৬ জুন চালু করা ‘এক দেশ, এক রেট’ কর্মসূচির আওতায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সেবামূল্য ঘোষণা করা হয়েছে। এবার ইন্টারনেট সেবার মানদণ্ড জানানো হলো।
নির্দেশনায় বলা হয় যে, টানা একদিন ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন থাকলে গ্রাহকের কাছ থেকে ওই মাসে মোট বিলের ৫০ শতাংশ নিতে পারবে। টানা ২ দিন ইন্টারনেট না থাকলে নেওয়া যাবে মাসিক বিলের মাত্র ২৫ শতাংশ অর্থ। আর ৩ দিন ইন্টারনেট না থাকলে সে মাসে গ্রাহকের কাছ থেকে কোনো টাকাই নেওয়া যাবে না।
বিটিআরসি নতুন নির্দেশনায় আরও জানিয়েছে, সেবাদাতারা নতুন নতুন প্যাকেজ দিতে পারবেন। তবে সেটা হতে হবে অনুমোদিত প্যাকেজের আদলে ও গতির সর্বনিম্ন সীমা ৫ এমবিপিএস অবশ্যই ঠিক রাখতে হবে। আবার নতুন প্যাকেজের জন্যও অনুমোদন নিতে হবে। আবার এর বাইরে কোনো প্যাকেজ দিলে কমিশন ব্যবস্থা নেবে। অনুমোদিত সেবামূল্য অবশ্যই আইএসপির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। গ্রাহকের অভিযোগ (টিকেটিং নম্বরসহ) দ্রুত সমাধান করতে হবে ও তথ্য অন্তত ৬ মাসের জন্য সংরক্ষণও করতে হবে।
অপরদিকে ‘এক দেশ, এক রেট’ কর্মসূচির আওতায় গত জুনে ৩টি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রথম প্যাকেজের মূল্য হলো মাসে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা, এর গতি হবে ৫ এমবিপিএস (মেগাবিট পার সেকেন্ড)। দ্বিতীয় প্যাকেজের মূল্য প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৮০০ টাকা, এর গতি হবে ১০ এমবিপিএস। এবং তৃতীয় প্যাকেজের গতি ২০ এমবিপিএস, যার দাম মাসে সর্বোচ্চ ১ হাজার ২০০ টাকা। মহানগর, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নে একই মূল্যে ইন্টারনেট সেবা দিতে হবে। এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে শেয়ারড কিংবা ভাগাভাগির (১:৮) ব্যান্ডউইডথের ক্ষেত্রে।
বিটিআরসির হিসাবে, গত আগস্ট মাস শেষে দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারী দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৫০ হাজার। বিটিআরসি মনে করছে, করোনাকালীন সময় ব্রডব্র্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ দ্বিগুণ হয়েছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।