দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব, শারদীয় দুর্গোৎসব ষষ্ঠীপূজার মধ্যদিয়ে আজ (সোমবার) সকাল থেকে শুরু হয়েছে। পাঁচ দিনের এই উৎসব শুক্রবার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হয়ে যাবে।
পঞ্জিকা অনুযায়ী, দেবী দুর্গা এবার আসছেন ঘোটকে করে অর্থাৎ ঘোড়ায় চড়ে। ঘোড়া এমন একটি বাহন যা যুদ্ধের সময় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। ঘোড়ার পায়ের শব্দও যুদ্ধেরই ইঙ্গিত বহন করে। তাই পঞ্জিকা মতেই ঘোটকে আগমনের অর্থই হলো ছত্রভঙ্গের কথাই বলা হয়। অর্থাৎ এই সময় যুদ্ধ, অশান্তি, হানাহানির সম্ভাবনায় থাকে। পঞ্জিকা বলছে যে, মা দুর্গার এবার দোলায় গমন ঘটবে। দোলায় গমনের ফলাফল হলো মড়ক লাগা।
পুরাণ মতে জানা যায়, রাজা সুরথ প্রথম দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু করেছিলেন। বসন্তে তিনি পূজার আয়োজন করায় দেবীর এই পূজাকে বাসন্তী পূজা বলা হতো। তবে রাবণের হাত থেকে সীতাকে উদ্ধার করতে লংকা যাত্রার পূর্বে শ্রী রামচন্দ্র দেবীর পূজার আয়োজন করেছিলেন শরৎকালের অমাবস্যা তিথিতে। যা শারদীয় দুর্গোৎসব নামেই অধিক পরিচিত। দেবীর শরৎকালের পূজাকে সেজন্যই হিন্দুমতে অকাল বোধনও বলা হয়ে থাকে।
এদিকে হিন্দু ধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গোৎসব উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এ বছর সারাদেশে ৩২ হাজার ১১৮টি পুজামণ্ডপে এই দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ঢাকা মহানগরে পূজা হচ্ছে ২৩৮টি। যা গতবারের চেয়ে ৪টি বেশি।
করোনা ভাইরাসের কারণে উৎসব সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পরিহার করে সাত্ত্বিক পূজায় সীমাবদ্ধ রাখতে ভক্তদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে পূজা উদযাপন পরিষদ। মেলা, আলোকসজ্জা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আরতি প্রতিযোগিতা বন্ধ ও বিজয়া দশমীর দিন শোভাযাত্রা পরিহার করে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।