দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজকাল অবসরে যাওয়ার পর থেকেই আমাদের গ্রাস করতে থাকে মৃত্যু-চিন্তা। আমরা তখন ভাবতে শুরু করি, এই বুঝি যাওয়ার সময় এসে গেলো!
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদায়ের ঘণ্টা বাজিয়ে দেওয়ার চিন্তা আমাদের কুরে কুরে খায়। কখন বা কোন সময় আমাদের দম ফুরিয়ে যাবে সেই চিন্তায় আমরা ব্যস্ত হয়ে পড়ি।
তবে হতাশ হওয়ার কোনও কারণ নেই- এমন কথা বলা হয়েছে এক গবেষণায়। চাইলে আমি, আপনি কম করে হলেও বাঁচতে পারি অন্তত ১৩০ বছর! এমনকি তা টেনে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে ১৫০ বছরেও!
একটি প্রবাদ বাক্য আছে, ‘মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভূবনে, মানবের মাঝে আমি বাঁচিতে চাই’? সেই কারণে সকলের জন্যই এই সুখবরটি দিয়েছে সাম্প্রতিক একটি গবেষণা। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে ‘রয়্যাল সোসাইটি ওপ্ন সায়েন্স জার্নাল’- নামে একটি জার্নালে।
গবেষকরা দেখেছেন যে, মানুষের আয়ুর আসলে কোনও ঊর্ধ্বসীমা নেই, আক্ষরিক অর্থেই। এই গবেষণাটি চালিয়েছেন লসনে সুইস ফেডেরাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (ইপিএফএল)-এর একদল বিজ্ঞানী।
গবেষকরা জানিয়েছেন, পরিবেশ দূষণের কারণে আগের চেয়ে মানবজীবনের ঝুঁকি বেড়েছে এটি ঠিক, তবে তারপরেও মানুষের আয়ুষ্কালের সত্যি সত্যিই তেমন কোনও পরিবর্তনই হয়নি। যদি আমরা জীবনকে মোটামুটি সঠিকভাবে চালিয়ে নিয়ে যেতে পারি চল্লিশের কোঠায়।
গবেষকরা ১৩টি দেশের ১০৫ ও ১১০ বছরেরও বেশি বয়সি এক হাজারেরও বেশি পুরুষ এবং মহিলা-সহ বিভিন্ন বয়সীদের গত ৬০ বছরের আযুষ্কাল সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাদি খতিয়ে দেখেই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন বলে জানানো হয়।
গবেষণাপত্রে দু’টি ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথমটি হলো- এ পর্যন্ত মানব ইতিহাসে সবচেয়ে বেশিদিন যিনি বেঁচেছিলেন সেই ফরাসি মহিলা জেন কামেন্তঁ। ১৯৯৭ সালে যিনি প্রয়াত হয়েছিলেন ১২২ বছর বয়সে। দ্বিতীয় ঘটনাটি জাপানের কানে তানাকা। যিনি এখন ১১৮ বছর বয়সেও দিব্যি সুস্থ্যভাবেই বেঁচে আছেন।
ওই গবেষণায় মূলত বোঝা যাচ্ছে, পরিবেশ দূষণ ও খাদ্যাভাসসহ লাইফস্টাইলে বেশ কিছু পরিবর্তন আমাদের আনতে হবে। তথ্যসূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।