দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যখন-তখন কারণে-অকারণে মেজাজ খারাপ। সকালের নাশতা কিংবা দুপুরের খাবারের সময় ছোট খাটো বিষয় নিয়ে রাগান্বিত হচ্ছেন। আজ এর সহজ সমাধান জেনে নিন।
যে কোনো কাজ করার সময় অল্প কথাতেই মাথা গরম হচ্ছে। এমনটা যদি মেজাজের অবস্থা হয় তাহলে সত্যিই চিন্তার বিষয়।
এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, অনেকেই এমন আচরণকে গুরুত্বই দেন না। তারা হয়তো ভাবেন এক সময় সব ঠিক হয়ে যাবে। আসলেও কী তাই হয়? কখনও হয় না। তবে এই ধরনের আচরণ দীর্ঘদিন চলতে থাকলে বড়সড় রোগ হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। একটু সচেতন হলেই পরিস্থিতি থেকে নিজেকে দূরে রাখা যাবে। সেই জন্য কিছু অনুশীলন করা প্রয়োজন। তাহলে সেই অনুশীলনগুলো আজ জেনে নিন।
# আপনার সবসময় রেগে থাকার পেছনে মানসিক অবসাদও কাজ করতে পারে। তাই একদমই অবহেলা করবেন না। তাই অবহেলা কাটিয়ে তোলার উপায় বের করার চেষ্টা করতে হবে। হঠাৎ করে রেগে যাওয়ার আগে পরিস্থিতি নিয়ে একটু হলেও ভাবতে হবে। মাথা ঠাণ্ডা রাখার চেষ্টা করতে হবে।
# রাতের বেলায় দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ার চেষ্টা করুন। অকারণে শুয়ে শুয়ে মোবাইল ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। শোয়ার আগে চোখ বন্ধ করে মেডিটেশন করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
# যদি কোনো কারণে মাথা গরম হয়েও যায় তাহলে যতোটা সম্ভব তা ভুলে থাকার চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন, আপনার হাতে কিন্তু সব কিছু নেই। আপনি চাইলেও সব করতে পারেন না। এতে আপনার রাগ কিংবা মেজাজ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
# ঘুম ভাঙার পর সকালে মুক্ত হাওয়ায় কিছুক্ষণ হাঁটুন। প্রকৃতির আলো-বাতাস গায়ে লাগার কারণে সারাদিন ফুরফুরে মেজাজ থাকবে।
# আপনি কখনও যদি কোনো পরিস্থিতি বা পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিতে নাই পারেন তাহলে সেই পরিবেশ এড়িয়ে চলতে হবে। খানিকটা দূরে গিয়ে নিজের মতো করে নিজেকে সময় দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এতে করে মনে প্রশান্তি আসবে। মেজাজও ভালো থাকবে।
# আপনার যদি ডায়েরি লেখার অভ্যাস না থাকে, তাহলে অভ্যাস করুন। সারাদিনের সকল ভালো-মন্দ স্মৃতি ডায়েরিতে লিখুন। এতে করে আপনার রাগ কমে যাবে। সেই সঙ্গে পজিটিভ চিন্তাভাবনাও আসবে। তথ্যসূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।