দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গোলমরিচের মসলা হিসেবে জুড়ি নেই। খাবার সুস্বাদু এবং মজাদার করার জন্য এই উপাদানের বিকল্পও নেই।
বিশেষ করে কাচ্চি, তেহারি, স্যুপসহ মুখরোচক খাবার তৈরিতে গোলমরিচ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটি স্বাদে এবং গন্ধে যেমন অতুলনীয়, তেমনি এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী।
ওজন হ্রাস করে: গোলমরিচ খাদ্য হজমেও ভূমিকা রাখে। এটি চর্বি কমাতেও বিশেষভাবে সহায়তা করে। যে কারণে ওজন কমে দ্রুত। এই মসলা ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস ফ্যাট কোষগুলো ভেঙে দিতেও সহায়তা করে, যে কারণে দেহে উপস্থিত অতিরিক্ত ফ্যাট এবং টক্সিন হতে মুক্তি পাওয়া যাবে।
গোলমরিচ হলো ভিটামিনের বড় একটি উৎস। এটি সোডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝেড়ে ফেলাসহ নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে এই গোলমরিচের। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের প্রতিবেদনে এই গোলমরিচ সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। জেনে নিন সেই বিষয়গুলো:
ইনফেকশন রোধে গোলমরিচ: গোলমরিচের আরেকটি উপকারিতা হলো ভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করা। এই মসলার অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল বৈশিষ্ট্য মানব শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি ও সংক্রমণ নিরাময়েও অত্যন্ত উপকারী। তাই এর বিকল্প নেই।
কাশি-সর্দি দূর করতে গোলমরিচ: বেশি নয় আধা চামচ মধু এবং এক চিমটি গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে হবে। এটি ফ্লু, গলা ব্যথায় খুবই কাজ করে। এ ছাড়াও দারুচিনি, আদা এবং এলাচ দিয়ে চায়ের সঙ্গে অল্প গোলমরিচ যোগ করে আপনি পান করতে পারেন ইচ্ছে করলে। করোনাকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এটি খুবই উপকার বয়ে আনবে।
পেটের অসুখ দূর করে গোলমরিচ: অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে এই গোলমরিচে। এই গোলমরিচে রয়েছে পাইপারিন, যা পেটে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডের নিঃসরণ উদ্দীপিত করে থাকে, যা খাবারের সঠিক হজমের জন্য প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়া প্রতিরোধও করে এটি।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।