দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যারা ফেসবুক ব্যবহার করেন বিশেষ করে নারীদের জন্য এই ‘ফেসবুক প্রোটেক্ট’টি বেশি প্রয়োজন। যাতে করে কেও অবাধে অ্যাকাউন্টটিতে ঢুকতে না পারে।
তাছাড়া ‘ফেসবুক প্রোটেক্ট’ চালু করার সময় এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে লার্ন মোর অপশনে গেলে সেখানে ফেসবুক প্রোটেক্ট কেনো জরুরি সে বিষয়ে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয় যে, হ্যাকাররা প্রায় সময় সেই অ্যাকাউন্টগুলোর প্রতিই আগ্রহী হয়, যেগুলোতে সাধারণভাবে অনেক বেশি ফলোয়ার থাকে, যেগুলো গুরুত্বপূর্ণ পেইজ পরিচালনা করে বা যার কমিউনিটি সিগনিফিক্যান্স কিংবা গুরুত্ব রয়েছে।
এই ধরণের টার্গেটেড অ্যাটাক কিংবা উদ্দেশ্যপূর্ণ হামলা রোধ করতেই উন্নত নিরাপত্তার এই প্রোগ্রামটি চালু করার অনুরোধ করেছে ফেসবুক।
এই বিষয়ে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলেন, ফেসবুকের এই ফিচারটি অ্যাকাউন্টের মৌলিক নিরাপত্তার বিষয়গুলো যেমন- ইউজার নেম, পাসওয়ার্ড কিংবা টু-ফ্যাক্টর অথেনটিফিকেশনের পাশাপাশি আরও কিছু বাড়তি নিরাপত্তাও দেবে।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলেছেন, “এর পরবর্তীতে অ্যাকাউন্টধারীর পেইজে কোনো পোস্ট আসার আগে আবারও অথেনটিফিকেশন (যাচাই) হয়ে আসবে। যাতে ওই অ্যাকাউন্টটিকে কেও অ্যাবিউজ করতে না পারে, হুমকি থেকে রক্ষা করতেই এই উদ্যোগ।”
সবাইকে এটি নয় বরং ফেসবুক যাদের মনে করছে যে, তারা কোন ধরণের হুমকির মুখে পড়তে পারেন তাদেরকেই এই ধরনের বার্তা পাঠানো হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
অ্যাডভানস সিকিউরিটিতে কী কী অপশন রয়েছে?
এর আওতায় লগ ইনের ক্ষেত্রে আরও কঠোর নিয়ম আরোপ করা হবে যাতে অনুমোদনহীন কেও আপনার অ্যাকাউন্টে আর প্রবেশ করতে না পারে।
এছাড়াও ফেসবুক যদি আপনার অ্যাকাউন্টে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো লগ ইন শনাক্ত করে, তাহলে সেটি যে আপনি সেটা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত কিছু ধাপও পেরুতে হবে।
‘ফেসবুক প্রোটেক্ট’ চালু করা থাকলে প্রতিনিয়ত নিরাপত্তা পদক্ষেপ আরও ভালো করতে কাজ করবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। যে কারণে অ্যাকাউন্টের ব্যাকগ্রাউন্ডে কিছু পরিবর্তনও আসতে পারে।
তাছাড়াও ফেসবুক কোনো নতুন সিকিউরিটি প্রোগ্রাম চালু করলেই সেটি আপনাকে জানানো হবে যাতে আপনি অন্যদের তুলনায় আগেই সেই সুবিধাটি পান।
ফেসবুকের ওয়েবসাইটে জানানো হয় যে, এই প্রোগ্রামটি আপনার অ্যাকাউন্টে অন্তর্ভুক্ত করার পর সেটি আরও দৃঢ় নিরাপত্তা সুরক্ষা পাবে যেমন- টু-ফ্যাক্টর অথেনটিফিকেশন চালু হয়ে যাবে ও সম্ভাব্য হ্যাকিংয়ের বিষয়েও নজর রাখা হবে।
কীভাবে এটি করতে হবে?
ফেসবুকের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, যারা এই ফিচারটি চালু করতে পারবেন, তারা ফেসবুকের মাধ্যমেই এটি জানতে পারবেন।
যারা এর আওতায় পড়বেন তারা ফেসবুকের সেটিংসে গিয়ে সিকিউরিটি অ্যান্ড লগ-ইন অপশনে গেলেই ‘ফেসবুক প্রোটেক্ট’ (Facebook Protect) নামে একটি অপশন পাওয়া যাবে। সেখান থেকে ‘ফেসবুক প্রোটেক্ট’ অপশন অন করা যাবে।
তবে অনেক সংবাদ মাধ্যম এই ‘ফেসবুক প্রোটেক্ট’ টিকে অন্যভাবে নিয়েছেন। তারা বলেছেন, ২৮ অক্টোবরের মধ্যে এটি চালু না করলে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে। সেটি মোটেও ঠিক নয়। এটি আপনার অ্যাউন্টের নিরাপত্তা বিধান করবে, তবে এটি চালু না করলে অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে সেটি ঠিক নয়। তাই আপনার নিরাপত্তার কথা আপনাকেই ভাবতে হবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।