দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে চলছে বন্ধুদের পুরোনো ছবি খুঁজে বের করা এবং তাতে কমেন্ট করার ট্রেন্ড। এইসব কমেন্টের কারণে কয়েক বছর আগের ছবিগুলো প্রকাশ্যে আসছে নতুনভাবে। সেগুলো নিয়ে চলছে নানা হাসি-ঠাট্টা। কেও কেও আবার মনে করছেন পুরনো দিনগুলোই আসলে সুন্দর ছিল।
পুরনো ছবিতে কমেন্টের এই জোয়ার থেকে বাদ যাচ্ছেন না অনেক সেলিব্রেটিরাও। খোদ ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গের পুরনো ছবিতেও মজার ছলে কমেন্ট করছেন অনেকেই।
তবে অনেকেই আবার নিজের পুরোনো ছবিকে সামনে আসাতে একটু অস্বস্তিতে ভুগছেন। এর পেছনে অবশ্য বিভিন্ন কারণও রয়েছে। পূর্বের কোনো সম্পর্ক নিয়ে দুষ্টুমি বা গায়ের রং এবং স্বাস্থ্যের আগের অবস্থা নিয়ে ঠাট্টা কারও কারও ক্ষেত্রে মানসিক যন্ত্রণার কারণও হতে পারে।
এইসব অস্বস্তি এড়াতে কেও যদি চান যে, তার পুরনো ছবি সামনে না আসুক। তাহলে সে উপায়ও কিন্তু রয়েছে। তাহলে জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে-
এইক্ষেত্রে প্রথমেই আপনার টাইমলাইনে প্রবেশ করুন। তারপর প্রোফাইল পিকচারে নিচে “Photos” অপশনে যাওয়ার পর “Albums” এ ক্লিক করুন। তারপর যে কোনো অ্যালবামে চলে যান। সেখান থেকে একদম শেষের দিকে আপলোড করা ছবিগুলো আপনি খুঁজে বের করুন। এবার অ্যালবাম লুকাতে চান সেটির ডানপাশে থাকা থ্রি ডট (…) বা Edit অপশনে এই ক্লিক করুন, এরপর সেখান থেকে Edit Album ক্লিক করুন। সেখান থেকেই প্রাইভেসি “only me” ক্লিক করুন। ছবির ক্ষেত্রে একইভাবে নির্দিষ্ট ছবির ঠিক ডানপাশে থাকা থ্রি ডট (…) হতে Edit অপশনে এই ক্লিক করুন, তারপর সেখান থেকে Edit Caption এ ক্লিক করতে হবে। তাহলেই ছবি কিংবা অ্যালবামটি আপনি ছাড়া কেও দেখতে পাবে না।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org