দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সঠিকভাবে চুলের যত্ন না নিলে চুল হয়ে যায় রুক্ষ ও বিবর্ণ। অনেকেরই সারাবছর লেগে থাকে চুলের সমস্যা। আজ জেনে নিন সুন্দর চুলের জন্য কিছু টিপস।
একটু সচেতন থাকলে এবং কিছু পরিকল্পনা নিলে আপনার চুল নিয়মিতই থাকবে সুন্দর ও নজরকাড়া লাইফস্টাইল বিষয়ক অনলাইন ম্যাগাজিন ফেমিনা ইন্ডিয়া অবলম্বনে সুন্দর চুলের জন্য জেনে নিন কয়েকটি টিপস, যা আপনার বেশ কাজে আসবে।
নিয়মিত চুল কাটুন: নিয়মিতভাবে চুলের আগা কাটতে হবে। এতে চুলের শেইপ আরও সুন্দর থাকবে, আগা ফেটে যাওয়া বা ভেঙে যাওয়ার সমস্যাও কমে যাবে। ৩ মাস পরপর অন্তত একবার চুল কাটাতে হবে, তাতে চুলের স্বাস্থ্যও থাকবে ভালো।
ডিপ কন্ডিশনিং করুন নিয়মিত: প্রতিমাসে অন্তত একবার প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে চুল ডিপ কন্ডিশনিং করা প্রয়োজন। নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল, আমন্ড অয়েল কিংবা সরিষার তেল চুলের পক্ষে খুবই ভালো কন্ডিশনার। বড় ২/৩ চামচ তেল গরম করে তারপর হালকা ঠাণ্ডা করে নিতে হবে। হালকা গরম থাকতে থাকতেই তেলটা চুলের গোড়ায় ও গোটা চুলে ভালো করে মেখে নিতে হবে। এখন শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে ঢেকে সারারাত রেখে দিন। পরের দিন শ্যাম্পু করে নিন।
সঠিকভাবে চুল আঁচড়াতে হবে: কখনও জবজবে ভেজা চুল আঁচড়াতে যাবেন না, তাতে চুল ভেঙে যেতে বাধ্য। যতোটা সম্ভব চুল থেকে পানি ঝরিয়ে নিয়ে তারপর মোটা কাটার চিরুনি দিয়ে জট ছাড়িয়ে নিতে হবে। এবার নিচের দিক থেকে আঁচড়াতে শুরু করুন, তারপর ধীরে ধীরে উপর দিকে উঠুন।
প্রি-কন্ডিশনিং করুন: শ্যাম্পুর পরে কন্ডিশনিংয়ের কথা তো অনেকেই জানেন। তবে ইদানিং কন্ডিশনিংকে সরিয়ে স্থান করে নিচ্ছে প্রি-কন্ডিশনিং। অর্থাৎ শ্যাম্পু করার পূর্বেই কন্ডিশনার লাগানোর পদ্ধতি। যাদের চুল কোঁকড়া ও রুক্ষ, তারা প্রি-কন্ডিশনিং করলে দারুণ ভালো ফলাফল পাবেন।
কখনও অতিরিক্ত শ্যাম্পু করবেন না: প্রতিদিন শ্যাম্পু করলে চুলের উপর স্বাভাবিক তেলের আস্তরণ নষ্ট হয়ে যায়। তখন চুল হয়ে যায় রুক্ষ। সপ্তাহে ২/৩ বারের বেশি কখনও শ্যাম্পু করবেন না। তবে চেষ্টা করবেন বেবি শ্যাম্পু ব্যবহার করার জন্য। তাতে চুল আরও বেশি ভালো থাকবে।
ঘুমানোর পূর্বে চুল বেঁধে রাখুন: চুল খোলা অবস্থায় ঘুমানোর কারণে বালিশের সঙ্গে ঘষা লেগে চুল উঠে যেতে পারে৷ চুলে জট পড়ে রুক্ষ এবং অমসৃণও হয়ে যেতে পারে। তাই ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই খোপা করে চুল বেঁধে রাখুন, তাতে চুলও ভালো থাকবে।
ঘরোয়া হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন: নারিকেল তেল, কলা, ডিম, মেয়নিজ, অলিভ অয়েল, অ্যালোভেরা, মধু, টক দই দিয়ে বানিয়ে নিতে হবে রকমারি হেয়ার মাস্ক। এতে করে চুলের গোঁড়ার পুষ্টি যোগাবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।