দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অভিবাসন নিয়ে সারা বিশ্বেই চলছে নানা ধরনের রাজনীতি। যে কারণে শরণার্থী সমস্যা দিনকে দিন আরও প্রকট হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময় তুরস্কে কমেছে আশ্রয়ের আবেদন।
অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) এর সদস্য দেশগুলোতে অভিবাসন প্রবাহ সম্পর্কে এক বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে যে, ২০২০ সালে তুরস্কে আশ্রয়ের আবেদন সংখ্যা ৪৪.৫ শতাংশ কমেছে, তারপরও এই সংখ্যাটি ৩১ হাজারের বেশি। স্টকহোম সেন্টার ফর ফ্রিডম এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
‘ইন্টারন্যাশনাল মাইগ্রেশন আউটলুক ২০২১’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, বেশিরভাগ আবেদনকারী আফগানিস্তান (২৩ হাজার), ইরাক (৫ হাজার ৯০০) ও ইরান (১ হাজার ৪০০) থেকেই এসেছেন। এ খবর দিয়েছে টার্কি মিনিটস।
২০১৯ সালেও তুরস্ক ৫ লাখ ৭৮ হাজার নতুন অভিবাসী পেয়েছিল। এর আগের বছরের তুলনায় যা প্রায় ২৪ শতাংশ বেশি ছিল। যাদের মধ্যে ইরাক, তুর্কমেনিস্তান এবং আফগানিস্তানের নাগরিকই বেশি ছিল।
ওইসিডিভুক্ত দেশগুলোতে তুর্কি নাগরিকদের অভিবাসন ২০১৯ সালে ২ শতাংশ বেড়ে ৭০ হাজারে দাঁড়িয়েছে।
ইউরোস্ট্যাট অনুসারে দেখা যায়, গত ১২ বছরে ইইউ দেশগুলোতে তুর্কি নাগরিকদের আশ্রয়ের আবেদনের সংখ্যা ৪৯৪ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। যদিও ২০০৮ সালে মাত্র ২ হাজার ৮১৫ জন তুর্কি ইইউ দেশগুলোতে আশ্রয়ের আবেদন করেছিলো। এই সংখ্যা ২০২০ সালে বেড়ে ১৩ হাজার ৯০৫ তে দাঁড়িয়েছে। ২০২০ সালে ইইউতে আবেদনের প্রায় ৩.৪ শতাংশই ছিলো তুর্কি নাগরিক।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ২০২০ সালে ওইসিডি দেশগুলোতে অভিবাসন প্রবাহ অন্তত এক-তৃতীয়াংশ কমে গেছে। স্থায়ী অভিবাসন প্রবাহ একই বছরে অন্তত ৩০ শতাংশেরও বেশি কমেছে, যার সংখ্যা প্রায় ৩.৭ মিলিয়ন হবে। ২০০৩ সালের পর যা ছিলো সর্বনিম্ন।
ওইসিডিভুক্ত দেশগুলোতে নতুন আশ্রয়ের আবেদনের সংখ্যা ২০২০ সালে এসে ৩১ শতাংশ কমেছে। যা ১৯৯০ এর দশকের গোড়ার দিকে বলকান সংকটের সমাপ্তির পর থেকে সর্বনিম্ন। প্রতিবেদন বলছে যে, টানা ২ বছর ভেনেজুয়েলা আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যায় হবে এক নম্বর দেশ। এর পরের স্থানে রয়েছে আফগানিস্তান এবং সিরিয়া।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।