দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানি স্মার্টফোন ব্যবহারে গরম হতেই পারে। তবে অত্যাধিক গরম হলে স্মার্টফোন হ্যাং করতে পারে। তাহলে স্মার্টফোন অতিরিক্ত গরম হলে কী করবেন?
তবে একটি বিষয় আপনাদের জেনে রাখতে হবে। সেটি হলো স্মার্টফোন গরম হওয়ার কিছু নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে। স্মার্টফোন গরম হওয়ার অন্যতম কারণ হলো ফোনের ব্যাটারি গরম হয়ে যাওয়া। ব্যাটারি অতিরিক্ত গরম হলে যে কোনো সময় ব্যাটারিতে বিস্ফোরণও ঘটতে পারে। তবে ব্যাটারি গরম হওয়া ছাড়াও ফোন গরম হওয়ার আরও অনেক কারণ রয়েছে। কী কী কারণে স্মার্টফোন গরম হতে পারে? জেনে নিন বিষয়টি:
স্মার্টফোন কখনও ১০০ শতাংশ চার্জ করবেন না। সেইসঙ্গে কখনই ফোনের ব্যাটারি ২০ শতাংশের নিচেও যেতে দেবেন না। অতিরিক্ত চার্জ বা ডিসচার্জ হলে ফোনের ব্যাটারিতে সমস্যাও হতে পারে, যা ফোন গরম হওয়ার অন্যতম একটি কারণ।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আমরা ফোনে কভার ব্যবহার করি। এটি ফোন গরম হওয়ার অন্যতম কারণ। ফোনের কুলিং সিস্টেমকে বন্ধ করে দেয় এই কভার। যে কারণে ফোনের ভিতরে তৈরি হওয়া তাপ সহজে বের হতে পারে না। যে কারণে কভার পরালে অনেক ফোন গরম হয়ে যেতে পারে। তাই ফোন অতিরিক্ত গরম হয়ে গেলে ফোন থেকে অবিলম্বে কভারটি খুলে ফেলুন। আপনার স্মার্টফোন ঠাণ্ডা হলে তখন আবার কভার ব্যবহার করতে পারেন।
তাছাড়া ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে এমন কিছু অ্যাপ চলতে থাকে যা আমাদের প্রয়োজনই হয় না। এই সব অ্যাপ অযথায় প্রসেসর এবং ব্যাটারি নষ্ট করতে থাকে। যে কারণে ফোন গরম হতে শুরু করে দেয়। তাই প্রয়োজনীয় সব অ্যাপ নিয়মিত ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে ডিলিট করে নেওয়ায় ভালো।
অপরদিকে ফোনের ডিসপ্লে সবথেকে বেশি ব্যাটারি নষ্ট করে থাকে। তাই ডিসপ্লের ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখলে ব্যাটারির উপরে কম চাপ পড়বে যা ফোন ঠাণ্ডা রাখতেও সাহায্য করবে।
স্মার্টফোন কেনার সময় কোম্পানি থেকে যে চার্জারটি দেওয়া হয় তা খারাপ হলে অনেকেই কম দামের নকল চার্জার ব্যবহার শুরু করে থাকেন। এই ধরনের নকল চার্জার কখনও ব্যবহার করবেন না। কারণ এইসব চার্জার ব্যবহার করলে ফোনের ব্যাটারি খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যে কারণে গরম হতে শুরু করে স্মার্টফোন। তাই ফোনের চার্জার খারাপ হলে অবশ্যই আসল চার্জর কিনুন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।