দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীত পড়তে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। ঋতুবদলের এই সময় ঝট করে ঠাণ্ডা লেগে যাওয়ার প্রবণতা থাকে বেশিরভাগ শিশুরদের। সর্দি-কাশির সমস্যায় ভোগা শিশুদের প্রতিরোধশক্তি বাড়ানোর কিছু টিপস জেনে নিন।
আবহাওয়ার যখন পরিবর্তন ঘটে বিশেষ করে শীতের শুরুতে একবার সর্দি-কাশি শুরু হলে তা যেনো ছাড়তে চায় না। এমন প্রবণতা হতে পারে আপনার বাড়ির শিশুটিরও। সে ক্ষেত্রে তার শরীরের প্রতিরোধশক্তি বাড়ানোর বিষয়ে আপনাকে নজর দেওয়া জরুরি। যাতে করে শীতের মৌসুমে কম সমস্যায় ভোগে আপনার শিশু।
আমরা সাধারণত শিশুর প্রতিরোধশক্তি বাড়ানোর জন্য নানা ধরনের চেষ্টা করে থাকি। তবে ছোট থেকেই শিশুদের কিছু অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তাতে তাদের প্রতিরোধশক্তি আরও বাড়বে।
বিশেষ করে কয়েকটি বিষয়ের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে:
# যথেষ্ট পরিমাণ শাক-সব্জি খাওয়ার অভ্যাস করান আপনার শিশুকে। ভিটামিন, খনিজ পরদার্থের মতো বিভিন্ন উপাদান শরীরে যাবে এর মাধ্যমেই। তাতে করে বাড়বে প্রতিরোধশক্তি।
# শিশুকে পরিচ্ছন্ন থাকতে শেখান। খাওয়ার আগে এবং পরে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, খেলাধুলা করে এসে হাত-মুখ ধুয়ে ফেলার অভ্যাসও গড়ে তুলতে হবে। তাতে করে শরীরে কম পরিমান জীবাণু প্রবেশ করবে, শিশুও থাকবে সুস্থ্য।
# সাধারণত শরীর প্রয়োজন মতো পানি পেলে অনেক ধরনের রোগের সঙ্গে লড়তে পারে। তাই সারা দিন মাঝেমাঝেই পানি খাওয়ার অভ্যাস করে তুলুন।
# প্রতিদিন সময় করে ঘুমোতে যাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। প্রয়োজন মতো ঘুম না হলে কোনও নিয়ম মানলেও শরীরের কোনো লাভ হয়বে না। তাই সুস্থ্য থাকার জন্য রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুম সকলের জন্য অতি জরুরি। এতেকরে শরীর যেমন শক্ত থাকে। তেমনি সব রকমের রোগের সঙ্গে লড়ায় করার ক্ষমতাও বাড়বে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।