দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আগেই মোবাইল অপারেটরগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন ইন্টারনেট ডেটা যোগ করার জন্য। এবার বিটিআরসি জানালো সেই নির্দেশ বাস্তবায়ন হবে আগামী ১ মার্চ থেকে।
মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন কোম্পানীর ইন্টারনেট প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অব্যবহৃত ডেটা পরবর্তী প্যাকেজের সঙ্গে যোগ করতে হবে। তবে গ্রাহককে ওই প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বেই একই ডেটা প্যাকেজ কিনতে হবে। ভিন্ন ভিন্ন মেয়াদ হলেও অব্যবহৃত ডেটা যোগ হবে। এই নির্দেশিকা আগামী বছরের ১ মার্চ হতে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
গত ৯ নভেম্বর এক অনুষ্ঠানে ‘মোবাইল ডেটা প্যাকেজ নির্দেশিকা’ নিয়ে এক উপস্থাপনায় এইসব তথ্য জানায় বিটিআরসি সংশ্লিষ্টরা। খবর সংবাদ মাধ্যমের।
বিটিআরসি জানিয়েছে যে, কোনো গ্রাহক তিন দিন মেয়াদের তিন জিবি’র কোনো প্যাকেজ কিনলেই তিন দিন শেষ হওয়ার আগেই তাকে অন্তত তিন জিবি’র প্যাকেজ কিনতে হবে। সেটি ৩, ৭, ১৫ অথবা ৩০ দিন- যে কোনো মেয়াদেই হতে পারে। বর্তমানে একই মেয়াদের প্যাকেজ কিনলে অব্যবহৃত ডেটা যোগ হয়ে থাকে।
বলা হয়েছে, মোবাইল অপারেটরদের সর্বোচ্চ তিন ধরনের প্যাকেজ থাকবে। নিয়মিত প্যাকেজ, গ্রাহককেন্দ্রিক বিশেষ প্যাকেজ এবং রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্যাকেজ। একটি অপারেটরের নিয়মিত এবং গ্রাহককেন্দ্রীক এই বিশেষ প্যাকেজ মিলিয়ে সর্বোচ্চ সংখ্যা হতে হবে ৮৫। তবে নিয়মিত বা গ্রাহককেন্দ্রীক বিশেষ প্যাকেজ সংখ্যা এককভাবে ৫০টির অধিক কখনও হতে পারবে না। মোবাইল ফোন অপারেটরের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কাজের জন্য সর্বোচ্চ ১০টি প্যাকেজ ব্যবহার করতে পারবেন।
প্যাকেজের ভিন্নতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে দুটি প্যাকেজের মধ্যে ন্যূনতম পার্থক্য হতে হবে ১০০ মেগাবাইট ডেটা বা ১০ মিনিট টকটাইম কিংবা উভয়ই।
বিটিআরসি আরও জানিয়েছে, মোবাইল অপারেটরদের ইন্টারনেট প্যাকেজ নিয়ে বিটিআরসির গণশুনানিতে গ্রাহকদের আপত্তির পর গত ১২ সেপ্টেম্বর ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী এবং সচিবের উপস্থিতিতে বিটিআরসি ও মোবাইল ফোন অপারেটরদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়। পরে আরও বিশ্লেষণের পর ডেটা প্যাকেজ নিয়ে নির্দেশিকাটি তৈরি করা হয়। এই নির্দেশিকা আগামী ১ মার্চ হতে কার্যকর হবে।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান ও দেশের মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।