দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নিয়োগকর্তার কাছ থেকে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে ৩ বাংলাদেশী শ্রমিককে খুঁজছে ব্রুনাই পুলিশ। দেশটির প্রতিষ্ঠিত সংবাদ মাধ্যম বোর্নিও বুলেটিনের রিপোর্টে এমন দাবি করা হয়েছে।
তবে কোন প্রেক্ষাপটে এবং কেনো তারা পালাতে বাধ্য হয়েছে সে সম্পর্কে ওই রিপোর্টে একটি শব্দও লেখা হয়নি।
রিপোর্টার রোকেয়া মাহমুদ তার প্রতিবেদনে লিখেছেন যে, নিখোঁজ ওই ৩ বাংলাদেশীকে হন্য হয়ে খুঁজছে রয়্যাল ব্রুনাই পুলিশ ফোর্স। তিন পুরুষ বাংলাদেশী শ্রমিককে খুঁজে বের করতে জনসাধারণের সহায়তা চাওয়া হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
পলাতক শ্রমিকদের মধ্যে রয়েছে, মোঃ সুজন মিয়া (২৮) পাসপোর্ট নম্বর বিএম ৮২৬২৯০৯, সুবুজ আলী, পাসপোর্ট নম্বর বিপি০৩১০২৮৩ ও মোহাম্মদ আকতার হোসেন (২৯) পাসপোর্ট নম্বর- বিডব্লিউ০০৮৩৯৪৪।
ওই ব্যক্তিদের কেও সন্ধান পেলে লিমাউ মানিস থানায় বা নিকটতম পুলিশ স্টেশনে জানাতে অনুরোধ করেছে ব্রুনাই পুলিশ। তবে ওই সব বাংলাদেশীর পালিয়ে যেতে বাধ্য হওয়া সম্পর্কে লোমহর্ষক এক তথ্য দিয়েছেন বন্দর সেরিবেগওয়ানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা রহমান সুমনা।
রাষ্ট্রদূত নাহিদা রহমান সুমনা বলেন, কেবল বাংলাদেশীরা পালায় তা না, অন্য দেশের শ্রমিকরাও এখান থেকে পালায়। কারণ হলো তারা প্রতিশ্রুত বেতন পান না। ঢাকা থেকে নেওয়ার সময় তাদের যে বেতনের অঙ্গীকার করা হয়, বাস্তবে তার চেয়ে অনেক কম বেতন দেওয়া হয়। ২০-২১ ব্রুনাই ডলারের বেশি পান না তারা।
তা থেকে ফুড এবং ডরমেটরি রেন্ট কেটে নেওয়া হয়। যে কারণে দিন শেষে শ্রমিকদের হাতে ৪-৫ ডলারের বেশি থাকেই না। তাছাড়াও ঘিঞ্জি পরিবেশে থাকা ডরমিটরিগুলোতে শ্রমিকদের থাকতে হয় মানবেতর ও চরম অস্বস্তিতে গাদাগাদি করে থাকতে হয়।
করোনার সেকেন্ডওয়েভ শুরুর মুহূর্তে দেশটির পররাষ্ট্র এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্তকর্তাদের সঙ্গে দূতাবাসের (ত্রিপক্ষীয়) এই নিয়ে একটি বৈঠকও হয়েছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত মিজ রহমান আরও বলেন, সেখানে সরকারী কর্মকর্তারা ডরমিটরির অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কথার বিষয়টি স্বীকারও করেছেন।
তখন দূতাবাসের তরফ থেকে তাদের একটি অনুরোধও করা হয়, তাহলো কোন শ্রমিক পালিয়ে গেলে পত্রিকায় দেওয়ার আগে যেনো দূতাবাসকে জানানো হয়। তবে সেটা করা হচ্ছে না, পুলিশ পত্রিকাতে দিতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, শ্রমিকদের ন্যায্য বেতন ও স্বাস্থ্যকর ডরমিটরিই তাদের একমাত্র চাওয়া। এটি হলেই ৯৫ ভাগ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে তিনি মনে করেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।