মহিষ দুধ দিচ্ছে না সেই অভিযোগে থানায় হাজির কৃষক: তবে কাজও হলো!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কখনও কখনও কিছু ঘটনা আমাদের বিস্মিত করে। যেমন এবার এমন এক কাণ্ড করলেন ভারতে এক কৃষক। মহিষ দুধ দিচ্ছে না বলে অভিযোগ নিয়ে থানায় হাজির হলেন তিনি! তবে কাজও হলো! কিন্তু কীভাবে?

মহিষ দুধ দেয় না, তার জন্য কী করা দরকার? এর উত্তর খুঁজে না পেয়েই মনে হয় পুলিশের কাছে হাজির হয়েছিলেন ভারতের জনৈক কৃষক। তবে তিনি কিন্তু মহিষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে যাননি। তবে তিনি যা করেছেন, তাতেও বিস্মিত হয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

ভারতের মধ্য প্রদেশের সেই লোকের অভিযোগ হলো, তার মহিষ বেশ ভালোই ছিল। প্রতিদিন কয়েক লিটার দুধও দিতো। কিন্তু হঠাৎ করেই সে দুধ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এর পেছনে নিশ্চয়ই কোনো না কোনো ষড়যন্ত্র রয়েছে! সেই রহস্যের সমাধানের জন্যই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মহিষের মালিক।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের মহারাষ্ট্রের ভিন্দ জেলার ওই কৃষক তার মহিষকে নিয়ে থানায় হাজির হন। পুলিশকে জানিয়েছেন, তার মহিষটি একেবারেই দুধ দিচ্ছে না। তার ধারণা মহিষটিকে কেও তুক-তাক করেছে! এরই প্রভাবে মহিষটি আর দুধ দিচ্ছে না। তাই এই বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন তিনি।সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে নেট দুনিয়ায় হাসির রোল পড়ে যায়।

এই বিষয়ে দেশটির ডেপুটি পুলিশ সুপার অরবিন্দ শাহ জানিয়েছেন, বাবুলাল যাদব (৪৫) নামে ওই ব্যক্তি নয়াগাঁও পুলিশ স্টেশনে এসে অভিযোগ জানিয়েছেন যে, গত কয়েকদিন ধরেই তার মহিষটি দুধ দিচ্ছে না।

অভিযোগে বাবুলালকে বলেন, কয়েকজন গ্রামবাসী জানিয়েছেন যে, মহিষটির ওপর হয়তো কেও তুক-তাক করেছে।

আবেদন করার প্রায় ৪ ঘণ্টা পর বাবুলাল আবার মহিষ নিয়ে থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে সাহায্য চান বলে ডেপুটি পুলিশ সুপার অরবিন্দ শাহ স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন।

অরবিন্দ অবশ্য বাবুলালকে একেবারে নিরাশ করেননি। থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে একজন পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বাবুলালকে সাহায্য করার কথা জানিয়েছেন অরবিন্দ।

অবশ্য এতে কাজও হয়েছে। পরের দিন বাবুলাল আবার থানায় এসে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন যে, মহিষটি আবার দুধ দেওয়া শুরু করেছে!

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর

অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।