দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সংগীতবিষয়ক একটি রিয়েলেটি শো’তে চ্যাম্পিয়ন হন শারমিন আক্তার। আজ তিনি নিস্তেজ হয়ে পড়ে আছেন হাসপাতালের বিছানায়। থাইরয়েডের সমস্যা থেকে শারমিনের শরীরে বাসা বেঁধেছে নানা রোগ।
ক্রমশ তার অবস্থা শঙ্কটাপন্ন হচ্ছে বলে জানা গেছে। তিনি ইতিমধ্যেই ফোক গানে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। আরটিভির নিয়মিত আয়োজন ফোক স্টেশনের জন্য ৬টি গান গেয়েছেন তিনি। যার মধ্যে ‘আমি সাজাব তোমারে’ গানটির ভিউ হয়েছে প্রায় ২ কোটি। কণ্ঠশিল্পী শারমিনের এমন সময় আর্থিকভাবে পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন আরটিভির সিইও সৈয়দ আশিক রহমান। তার পক্ষ থেকে নিয়মিত খোঁজ-খবরও রাখছেন ও আশ্বাস দিয়েছেন শারমিনের বাবাকে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শারমিনের বাবা বাউলশিল্পী হুমায়ুন কবির বলেন, জীবনে কিছুই চাইনি। শুধু চেয়েছি আমার ‘মা’ গানের মধ্যেই বেঁচে থাকুক। সেই মা আজ ১৪ দিন ধরে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে, শারমিনের অবস্থার আরেকটু অবনতি হলে আর তাকে ফেরানো সম্ভব হবে না।
বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন শারমিন। এর আগে দুদিন রাজধানীর হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। মূলত জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন শারমিন। তবে অবস্থার উন্নতি না হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে শারমিনের বাবা বলেছেন, শারমিনের রক্তের সেল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তার শরীরে নতুন করে রক্ত উৎপাদনই হচ্ছে না বলেই দিন দিন অবস্থার অবনতি ঘটছে। গত ৯ দিন হাসপাতালের বেডে একই অবস্থায় পড়ে রয়েছে। শারমিনের শরীরে ঠিক কী রোগ বাসা বেঁধেছে, সে প্রশ্নের জবাবে তার বাবা বলেন, ‘নির্দিষ্ট করে এখনও কিছুই বলেনি। তবে তাদের ধারণা, এটা ব্লাড ক্যান্সারও হতে পারে।’
উল্লেখ্য, শারমিনের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলাতে। শারমিনের দাদাও গান গাইতেন। বাবাও গান গাওয়ার পাশাপাশি গানও লেখেন, আবার সুর করেন। বাবা-দাদার পথ ধরেই লোকগান করেন শারমিন। তথ্যসূত্র: আরটিভি।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।