দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ খেজুর এমন একটি জিনিস যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। খেজুরের উপকারিতা জানলে আপনি নিজেও অবাক হবেন!
আমরা সাধারণত রোজার সময় খেজুর খেয়ে থাকি। অথচ এর যতো গুণ তাতে সব সময়ই খাওয়া উচিত। চুল এবং ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখতে খেজুরের অনেক গুণ রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ছাড়াও খেজুরে আরও রয়েছে ভিটামিন এ, বি ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সালফার, ফাইবার, প্রোটিন এবং আয়রণ। আমাদের ক্লান্ত শরীরে যথেষ্ট পরমিাণ শক্তির জোগান দিতে পারে এই খেজুর।
বিআরবি হসপিটালের প্রধান পুষ্টিবিদ ইশরাত জাহান গণমাধ্যমকে বলেছেন, পাকা খেজুরে প্রায় ৮০% চিনিজাতীয় উপাদান বিদ্যমান। সকালে খালি পেটে খেজুর খেলে উপকার আরও বেশি হয়। তাছাড়াও ব্যায়াম করার ৩০ মিনিট আগে কয়েকটি খেজুর খাওয়া খুবই ভালো।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক খেজুরের পুষ্টিগুণ এবং স্বাস্থ্য উপকারিতা:
ফ্যাট: খেজুরে কোনও কোলেস্টেরল ও বাড়তি পরিমাণে চর্বি থাকে না।
ক্যান্সার প্রতিরোধ: খেজুর পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ ও প্রাকৃতিক আঁশে পূর্ণ। যারা নিয়মিতভাবে খেজুর খান তাদের বেলায় ক্যান্সারের ঝুঁকিও কম থাকে।
ভিটামিন: খেজুরে রয়েছে বি১, বি২, বি৩ এবং বি৫ ভিটামিন যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। সেইসঙ্গে খেজুরে দৃষ্টি শক্তিও বাড়ায়। সেইসঙ্গে রাতকানা রোগ প্রতিরোধেও খেজুর অত্যন্ত কার্যকরী।
আয়রণ: মানবদেহে আয়রণ হৃৎপিণ্ডের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে আয়রণ রয়েছে। তাই যাদের দুর্বল হৃৎপিণ্ড তাদের জন্য খেজুর হতে পারে সবচেয়ে নিরাপদ ওষুধ।
প্রোটিন: আমাদের শরীরের জন্য প্রোটিন একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। খেজুর প্রোটিন সমৃদ্ধ।
ক্যালসিয়াম: ক্যালসিয়াম হাড় গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখে। খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম। যা হাড়কে মজবুত করে থাকে। খেজুর শিশুদের মাড়ি শক্ত করতেও সাহায্য করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য: খেজুরে রয়েছে এমন কিছু পুষ্টিগুণ যা খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্যও রোধ করে। কখনও কখনও ডায়রিয়ার জন্যেও এটি বেশ উপকারী।
কর্মশক্তি বাড়ায়: খেজুরে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি থাকায় খেজুর খুব দ্রুত শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তাইতো সারাদিন রোজা রাখার পর রোজাদাররা যদি মাত্র ২টি খেজুর খেলে খুব দ্রুত কেটে যায় ক্লান্তি।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।