দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোনো কিছুতেই মাথার চুল বাড়ছে না? মাথায় টাক দেখা দিচ্ছে? সমাধান হিসেবে রয়েছে রসুন। রসুন শুধুমাত্র স্বাস্থ্যের জন্যই উপকারী নয়, সেইসঙ্গে চুলের জন্যও কার্যকারী।
বিশেষ করে চুলের গোঁড়া শক্ত করতে জিঙ্ক ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ রসুনের তেলের ম্যাসাজ খুবই উপকারী একটি জিনিস।
চুলের বৃদ্ধির ক্ষেত্রে যেভাবে রসুন ব্যবহার করবেন:
রসুন ও মধু : রসুনের সঙ্গে মধু মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করলে চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে দুর্দান্তভাবে কাজ করে। চুল বৃদ্ধি হয় ও চুলও উজ্জ্বল থাকে। এক চামচ মধুর সঙ্গে এক চামচ রসুনের রস মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিন, তারপর সেটি চুলে ভালো করে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার এটি করতে পারেন।
রসুন ও রোজমেরি : রোজমেরি অয়েল চুলের বৃদ্ধির ক্ষেত্রে দুর্দান্তভাবে কাজ করে। এর সঙ্গে নারকেল এবং ক্যাস্টর অয়েল ও রসুনের রস মিশিয়ে মাথায় লাগানোর পর ৩০ মিনিট রেখে দেওয়ার পর হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে মাথা ধুয়ে ফেলুন।
রসুনের তেল : রসুনের তেল দিয়ে মাথা ম্যাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পেতে পারে এবং হেয়ার ফলিকলস উদ্দীপিত করে। এটি চুলের বৃদ্ধিতে বেশ ভালো কাজ করে।
জেনে নিন রসুনের তেল তৈরি করার নিয়ম:
# ৮টি রসুনের কোয়া ও একটি মাঝারি আকারের পেঁয়াজ নিয়ে ভালো করে থেঁতো করে নিতে হবে।
# কড়াইয়ে আধা কাপ নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল নিয়ে গরম করুন ও তাতে আদা রসুনের পেস্ট মিশিয়ে দিন।
# যতোক্ষণ পর্যন্ত পিয়াজ-রসুনের পেস্টটি খয়েরি রঙ ধারণ করছে, ততোক্ষণ পর্যন্ত তেল গরম করতে থাকুন।
# এরপর সেই তেল ঠাণ্ডা করে ছেঁকে পৃথক পাত্রে ঢেলে রাখুন।
তারপর এই তেল ২ চামচ করে নিয়ে ১৫ মিনিট পর্যন্ত মাথা ও চুলে ম্যাসাজ করুন। ৩০ মিনিট রেখে দেওয়ার পর হালকা শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
রসুনের শ্যাম্পু: রসুনের শ্যাম্পু পিপারমেন্ট অয়েল চুলের বৃদ্ধির ক্ষেত্রে দুর্দান্তভাবে কাজ করে। এক্ষেত্রে ১৫টি রসুন কোয়া নিয়ে ভালো করে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। এরপর এই পেস্টটি আপনার শ্যাম্পুর বোতলে নিয়ে, তাতে ১০ ফোঁটা পিপারমেন্ট অয়েল দিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর সেই শ্যাম্পুটি মাথায় ব্যবহার করুন। দেখবেন ভালো ফল পাবেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।