দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গত কয়েক দশক ধরে ভারতীয় সিনেমার সংগীত জগতে রাজত্ব করে যাচ্ছেন সংগীত কিংবদন্তী বাপ্পি লাহিড়ী। তবে তাকে সব সময় সোনার গয়না পরে থাকতে দেখা যায়। কিন্তু কেনো?
বাপ্পি লাহিড়ীর গানের জনপ্রিয়তা এতোটুকুও ফিকে হয়নি নতুনদের আগমণের পরেও। বাপ্পি লাহিড়ীর প্রথম ভালোবাসা গান, তবে তার অন্যতম প্রেম হলো সোনার গয়নার সঙ্গে। গয়নার প্রতি তার অপার ভালোবাসা নজর কেড়েছে নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলের। তবে এই গয়না প্রীতির কারণ কী অনেকেই তা জানেন না। এবার সে বিষয়েই খোলাসা করলেন বাপ্পি লাহিড়ী নিজেই।
১৯৫২ সালের ২৭ নভেম্বর জলপাইগুড়িতে জন্মগ্রহণ করেন বাপ্পি লাহিড়ী। বলিউডের রক এবং ডিস্কো মিউজিকের প্রবর্তক তিনি।
সংগীতের সঙ্গে বাপ্পির প্রেম একেবারে ছোটবেলা থেকেই। মাত্র ৩ বছর বয়সে তবলা বাজানো শেখা শুরু। ১৭ বছর বয়সে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে ডেবিউ করেন এই লেজেন্ডারি মিউজিক কম্পোজার বাপ্পি লাহিড়ী।
১৯৭২ সালে বাংলা ছবিতে হাতেখড়ি ঘটে বাপ্পি লাহিড়ীর। ঠিক তার পরের বছর ১৯৭৩ সালে বলিউডে ডেবিউ করেন তিনি। তবে বাপ্পির গান নজরে আসে তাহির হুসেন পরিচালিত জখমি সিনেমার মাধ্যমে। বাকিটা হয়ে গেছে ইতিহাস।
ডিস্কো ডান্সার, শরাবি, নমক হালাল, ডান্স ডান্সসহ একাধিক ছবিতে শ্রোতাদের মন জয় করেন বাপ্পি লাহিড়ী।
বাপ্পির গানের বিষয়ে অনুপ্রেরণায় ছিলেন শচীন দেব বর্মন। তবে শুধু সংগীতই নয়, লুকেও তিনি ছিলেন অনন্য। অনন্য লুকের অনুপ্রেরণা নাকি মার্কিন রক সঙ্গীত শিল্পী এবং অভিনেতা এলভিস প্রিসলি।
বাপ্পি নিজ মুখেই বলেছেন, “এলভিস প্রেসলি সোনার চেন পরতেন। আমি সেটি খুবই পছন্দ করতাম। সেই সময় আমি ভাবতাম, আমি যখন প্রতিষ্ঠিত হবো তখন আমি নিজের একটা আলাদা ইমেজ তৈরি করবো। তারপর যখন আমি সফল হলাম। সোনা কেনার আর্থিক ক্ষমতা অর্জন করলাম। তখনই আমি একের পর এক গয়না কিনি।”
এই সঙ্গীত লেজেন্ডের জন্য সোনা নাকি খুবই লাকি। গয়না পরার এটিও নাকি আরেকটি কারণ। তবে কারণ যাই হোক না কেনো, বাপ্পি লাহিড়ীর সোনার গয়নার কালেকশন অনেক গয়নাপ্রেমী নারীকেও ছাড়িয়ে যাবে। সেজন্য গয়নাপ্রেমীদের কাছে তিনি ঈর্ষণীয়। তথ্যসূত্র : জি ২৪ ঘণ্টা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।