দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছোট থেকে বড় সবাই কম বেশি ঘুরতে পছন্দ করেন। তবে খুব কম বয়সে কয়জন বিশ্ব ভ্রমণ করে বিশ্ব রেকর্ড করতে পারেন! এই রেকর্ড গড়লেন এক মার্কিন তরুণী!
অনেকেই পরিকল্পনা করেন কোন কোন স্থানে ঘুরতে যাবেন তবে শেষমেষ দেখা যায় কোনো কারণে আর যাওয়া হয় না। আবার কেও কেও আছেন, যে কোনও উপায়ে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছে যান। তেমনই একজন হলেন মার্কিন তরুণী লেক্সি অ্যালফর্ড।
এই মার্কিন তরুণী মাত্র ২১ বছর বয়সে ১৯৬ দেশ ভ্রমণ করে বিশ্ব রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। তিনি এই বয়সে উত্তর কোরিয়া পর্যন্তও ঘুরে এসেছেন। সবচেয়ে কম বয়সে বিশ্বের সব কটি দেশে পা রাখার জন্য গিনেস রেকর্ডবুকে নাম উঠেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক লেক্সির বর্তমান বয়স ২৩ বছর। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকেই তিনি বেড়াতে ভালবাসেন। বিভিন্ন দেশ দেখা শুরু হয় অনেক কম বয়সেই। তার বাবা-মা ক্যালিফর্নিয়ায় একটি ট্র্যাভেল এজেন্সি পরিচালনা করেন। সেই সূত্রেই নতুন দেশ দেখা তার শুরু। বর্তমানে লেক্সির ইনস্টাগ্রামের পাতা ভর্তি নানা দেশে ভ্রমণের ছবি দিয়ে। লেক্সি ১৯৬টি দেশ দেখেছেন।
সংবাদমাধ্যমকে লেক্সি জানিয়েছেন যে, ছোটবেলায় অনেক দিনের জন্য দেশের বাইরে থাকতেন বাবা-মায়ের সঙ্গেই। লেখাপড়াও হতো বিভিন্ন দেশে ঘুরতে ঘুরতে। সেই সময়ই কম্বোডিয়ার ফ্লোটিং ভিলেজ থেকে মিশরের পিরামিড, সবই দেখা হয়ে গেছে তার। এরপর একা একা ঘোরা শুরু করেন।
যে সব জায়গায় যাওয়া অসম্ভব মনে করেন অনেকেই, সেখানেও ঘুরে আসার ইচ্ছা হয় তার। এই সময় থেকেই বিশ্ব ভ্রমণের বিষয়ে আরও ভাবনা-চিন্তা শুরু করেন তিনি। এর আগে মনের আনন্দেই বেড়াতেন।
লেক্সি ২০১৬ সালে ঠিক করেন, পৃথিবীর সবকয়টি দেশ ঘুরে দেখতে হবে তাকে। তখন তার বয়স ছিলো ১৮ বছর। ততোদিনে লেক্সি ৭২টি দেশ ঘুরে ফেলেছেন। তিন বছরের মধ্যে বাকি সব দেশেও ঘোরেন লেক্সি।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে গোটা দুনিয়া ঘুরে বেড়ানোর তার খরচ জোগালেন কে? নিজের রোজগারেই সবটা করেছেন এই মার্কিন তরুণী। তিনি বলেছেন, যখন যেখানে যেমন কাজ পেয়েছি, তখন করেছি। সেই টাকায় পরের দেশটি ঘুরে দেখার পরিকল্পনা করেছি। আর ঠিক এভাবেই চলেছে ভ্রমণ।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।