দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বউ ফেরত পেতে শ্বশুরবাড়িতে অনশনের ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। তবে এবার এমন একটি ঘটনা ঘটেছে ভারতে। শ্বশুরবাড়িতে এক তরুণের অনশন শুরু করেছেন বউ ফেরত পাওয়ার জন্য!
এবার নিজের বিয়ে করা বউকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে নেওয়ার জন্য শ্বশুরবাড়ির সামনে অনশনে বসলো এক যুবক। এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ির মালবাজার মহকুমার কাঠামবাড়ি এলাকাতে।
ভারতীয় সংবাদমসূত্রে জানা যায়, পারিবারিক অশান্তির জেরে সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে আসেন স্ত্রী। চিন্তায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন স্বামী। শত অনুরোধের পরেও সংসার করতে নারাজ তার স্ত্রী। বাধ্য হয়ে শ্বশুরবাড়ির সামনে অনশনে বসেন তার স্বামী।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, অনশন করা ওই যুবকের নাম হরিদাস মণ্ডল। এই সময় তিনি পিঠে একটি পোস্টারও লাগিয়ে রাখেন। সঙ্গে ছিল সন্তানের ছবিও। তাতে লেখা ছিল, ‘আমার বউ আমায় ফেরত চাই। ’
ওই যুবক হরিদাস দাবি করেছেন, চার বছর আগে কাঠামবাড়ি এলাকার বাসিন্দা জ্যোৎস্না মণ্ডলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে। তাদের একমাত্র মেয়ের বয়স এখন দেড় বছর। প্রথম প্রথম সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। তবে এক বছরের বেশি সময় ধরে তাদের সংসারে অশান্তি শুরু হয়।
হরিদাস মণ্ডল বলেছেন, শ্বশুরবাড়ির ইন্ধনেই তার এবং জ্যোৎস্নার সংসারে অশান্তি শুরু হয়েছে। তারপরই ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে তার স্ত্রী। শ্বশুরবাড়ির চাপেই মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরছেন না তার স্ত্রী। বারবার স্ত্রী-সন্তানকে ফিরিয়ে নিতে এলেও তাকে খালি হাতেই ফিরতে হয়। তাই বাধ্য হয়ে তিনি অনশনে বসেছেন। হরিদাস বলেছেন, ‘সেজন্য মরতেও রাজি আমি। ’
অপরদিকে স্বামীর অভিযোগ অস্বীকার করে জ্যোৎস্না মণ্ডল বলেছেন, আমি কোনো মতেই হরিদাসের সঙ্গে সংসার করতে চাই না। আমার ওপর শারীরিক অত্যাচার করে স্বামী হরিদাস। সে জন্যই আমি বাবার বাড়িতে চলে এসেছি। এতে আমার বাবা-মার কোনোই দোষ নেই।
জ্যোৎস্না মণ্ডল আরও বলেছেন, কিছুদিন আমার বাবার বাড়িতে এসেও থেকেছে হরিদাস। এখানেও মদ পান করে এসে আমাকে মারধর করতো। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, স্বামীর সঙ্গে থাকতে চাই না। এভাবে আমি অত্যাচার সহ্য করতে পারছি না। ছোট মেয়েকে নিয়ে আমি বাবার বাড়িতেই থেকে যাবো। তবে আমার এবং মেয়ের খরচ দিতে হবে স্বামীকেই।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় মধ্যরাত পর্যন্ত অনশন করেন হরিদাস। তারপর পুলিশ এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের আশ্বাসে গভীর রাতে অনশন ভাঙেন হরিদাস।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।