দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপ্রেসার নিত্যদিনের ঘটনা। ছোট বড় সকলের ক্ষেত্রে আজকাল এই রোগটি দেখা যায়। আজ জেনে নিন ওষুধ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখবেন যেভাবে।
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে প্রতিদিনই নিয়মিতভাবে ওষুধ খেতে হয়। এসব ওষুধ খেলেই কী সমস্যার সমাধান হয়ে যায়? বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রাই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকতে সহায়তা করতে পারে। শরীর ভালো রাখার জন্য নিয়মিত শরীরচর্চা ও দৈনিক ৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন পড়ে। তাছাড়াও উদ্বেগ কমাতে পারলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়। ওষুধ ছাড়া সুন্দর ওএবং সহজ উপায়ে কিভাবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় তা জেনে নিন।
খাদ্য তালিকায় কী কী রাখতে হবে?
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে প্রতিদিন সকালে ঘুম হতে উঠেই খালি পেটে রসুন খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। রসুনে অ্যালিসিন নামক এক ধরনের পদার্থ থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে থাকে। তাছাড়াও নিয়মিত খাবারের সঙ্গে পেঁয়াজ রাখতে হবে। এতে রয়েছে কোয়েরসেটিন ফ্লেভনয়েড। এটি রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখেতে বিশেষ অবদান রাখে।
আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পালংশাক রাখতে পারেন। কারণ পালং শাকে ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, আয়রণের মতো পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। শীতের মৌসুমে বিট রাখতে পারেন আপনার সবজির তালিকায়। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রেট নামক উপাদান। যে কারণে শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হবে। এছাড়াও অন্যান্য শাক-সবজির সঙ্গে মাছ এবং মুরগির মাংস খেতে পারেন। তাছাড়া প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
কোন খাবার খাবেন না?
আর একটি জিনিস হলো উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে কাঁচা লবণ এবং লবণ দেওয়া খাবার একদমই খাওয়া যাবে না। ‘প্রসেসড ফুড’ থেকেও বিরত রাখুন নিজেকে। সস, চিপস, রোল কিংবা স্যান্ডউইচ খাওয়া একেবারে কমিয়ে দিন। অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার যেমন কেক কিংবা মিষ্টি, চকলেট, আইসক্রিম ও প্যাকেটজাত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। সেইসঙ্গে তেল, ঘি, মাখন এবং রেডমিট হতে নিজেকে অবশ্যই দূরে রাখতে হবে। যাদের ধূমপান, অ্যালকোহল কিংবা কোল্ড ড্রিংকস খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে তারা এই অভ্যাস পরিবর্তনের চেষ্টা করতে পারেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।