দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঘুর্ণিঝড় বা বৈরি আবহাওয়ার সময় সবচেয়ে বেশি যে সমস্যা তৈরি হয় তা হলো টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই এই সময় স্মার্টফোন সচল রাখা বেশ দুষ্কর হয়ে পড়ে। আজ জেনে নিন কিভাবে স্মার্টফোন সচল রাখবেন।
ঝড়ের প্রভাবে অনেক সময ভেঙ্গে পড়ে একাধিক টাওয়ার। যে কারণে স্তব্ধ হয়ে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা। অপরদিকে বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবস্থাও অনেকসময় ভেঙ্গে পড়ে। সেক্ষেত্রে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিক থাকলেও বিদ্যুতের অভাবে ফোনে চার্জ না থাকলে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় না। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন কীভাবে?
খুব সাধারণ কিছু নিয়ম মানলে ঝড় বা প্রবল বর্ষণের সময় অর্থাৎ দুযোর্গপূর্ণ আবহাওয়াতে নিজের ফোনটিকে চালু রাখতে পারবেন। কীভাবে?
প্রযুক্তিগত দিকে অনেক উন্নতি হওয়ার কারণে বর্তমানে আগে থেকেই আবহাওয়ার খবর জানা সম্ভব। সেক্ষেত্রে, ঘুর্ণিঝড় কিংবা প্রাকতিক দুর্যোগ শুরু হওয়ার পূর্বেই ফোনে সম্পূর্ণ চার্জ দিয়ে রাখতে হবে। প্রয়োজনে সঙ্গে একটি পাওয়ার ব্যাঙ্ক রাখা গেলে ভালো হয়। সেটিও যেনো সম্পূর্ণ চার্জ থাকে সেদিকে আবার খেয়াল রাখতে হবে।
ঝড় কিংবা কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মোবাইলের ৪জি অপশন বন্ধ রাখুন ও ২জি চালু রাখুন। কারণ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় শুধুমাত্র টেলিফোন যোগাযোগ ব্যবস্থা যাতে বজায় থাকে সেদিকেই নজর দেওয়াটা জরুরি। কারণ ৪জি ব্যবহার করলে ফোনের চার্জ দ্রুতই শেষ হয়ে যাবে। অপরদিকে বিদ্যুৎ সংযোগ যদি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকে তাহলে ফোন সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে যেতে পারে। সে কারণে এইসব ক্ষেত্রে ২জি ব্যবহার করাই উত্তম। তাতে করে বেশিক্ষণ ফোনে চার্জ থাকবে।
বর্তমানে যেহেতু প্রায় সবাই স্মার্টফোন ব্যবহার করেন, সেইহেতু ফোনেই থাকে অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। তাই কোনও প্রাক়ৃতিক দুর্যোগের আগে সেইসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কোনও ক্লাউড ড্রাইভে সেভ করে রাখাই ভালো। প্রাকতিক দুর্যোগের সময় কোনও কারণে ফোনটি নষ্ট হয়ে গেলেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যাতে পাওয়া যায় তার জন্যই এই কাজটি করা প্রয়োজন।
কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে আপনার বাড়িতে থাকা ওয়াইফাই হটস্পটটি কাজ করতে নাও পারে। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রাউটার চালাতে বিদ্যুৎ এর প্রয়োজন পড়ে। তাই সেক্ষেত্রে ওয়াইফাই হটস্পট সঙ্গে রাখলে বিদ্যুৎ চলে গেলেও নেট পরিষেবা চালু রাখা সম্ভব হবে। তথ্যসূত্র : এই সময়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।