দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ লিভারের যদি দিনের কাজের তালিকা তৈরি করার দায়িত্ব দেওয়া হতো, তাহলে প্রায় ৫শ’টি কাজ লেখা থাকতো। তবে অবাক হওয়ার কিছুই নেই। এতো রকমের কাজই করে থাকে লিভার।
শরীরের ভিতরের ছোট্ট ওই অঙ্গই হলো ব্যস্ততম অংশের মধ্যে একটি। তবে এই অংশটি কতোটা কাজ করতে পারবে, তার অনেকটাই নির্ভর করে রোজকার খাওয়াদাওয়ার অভ্যাসের উপর।
শরীরের সব দূষিত পদার্থ হতে মুক্তি পেতে সাহায্য করে এই লিভার। রক্ত থেকে দূষিত সব পদার্থই সরিয়ে নেয় লিভার। তার অর্থ হলো অ্যামোনিয়া, ব্যাকটিরিয়া, ড্রাগ, ফ্যাট, রক্তের থেকে সব নিয়ে নেয় লিভার। তবে যে কোনও অঙ্গেরই সহনীয় একটি মাত্রা রয়েছে। লিভারকে সচল রাখতে কয়েকটি দিক খেয়াল রাখা অত্যান্ত জরুরি। বিশেষ করে কয়েক ধরনের খাবার খুবই ক্ষতি করতে পারে এই অঙ্গের ক্ষেত্রে।
কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে?
# কেক, পেস্ট্রি, কুকিজের মতো বেক করা খাবার লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ একটা ভালো নয়। এমনকি, প্রতিদিন জ্যাম মাখিয়ে পাউরুটি খেলেও দেখা দিতে পারে সমস্যা। কারণ হলো এই সব খাবারে থাকে ট্রান্স ফ্যাট। এই ফ্যাট নিয়মিত লিভারে গেলে ক্ষতিও হতে পারে।
# আবার ভাজাভুজিতেও থাকে ট্রান্স ফ্যাট। সাধারণ আলু ভাজা হোক কিংবা চপ-কাটলেট, এই ধরনের খাবার পেটে গেলেই লিভারের এমন একটি এনজাইম তৈরি হয়ে থাকে, যা অসুস্থতারও কারণ হতে পারে।
# নিয়মিত মদ্যপান যে লিভারের জন্য ক্ষতিকর, তা মনে রাখা অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়। অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে ফ্যাটি লিভারের সমস্যাও হতে পারে। সেইসঙ্গে ডেকে আনতে পারে আরও নানা ধরনের অসুখ-বিসুখ। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।