দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে মাদক গ্রহণের ফলে এইডসের ঝুঁকি আরও বাড়ায়। বাংলাদেশ ঝুঁকিপূর্ণ হলেও সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের কারণে এইডস প্রতিরোধ ও বিস্তার রোধ করাও সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশের এই ভূমিকা বিদেশেও প্রশংসিত হয়েছে। সম্প্রতি দৈনিক ভোরের কাগজ অফিসে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে মাদক গ্রহণের কারণে এইডসের ঝুঁকি প্রতিরোধ বিষয়ে গণমাধ্যমকে অবহিতকরণ কর্মশালায় এই সব কথা বলেছেন বক্তারা। ওই অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক ছিলেন ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত।
বক্তারা বলেছেন, গণমাধ্যমের ইতিবাচক প্রচারণার কারণে এইডস নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সফল। সেই সঙ্গে সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থাগুলোও প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে আসছে।
বক্তারা বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে এইডসের সংক্রমণ বেশি থাকায় আমরা পুরোপুরিভাবে ঝুঁকিমুক্ত হতে পারছি না। তাই সামাজিক আন্দোলন আরও জোরদার এবং জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ততা আরও বাড়াতে হবে।
ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন। আলোচনা করেন ডা. মো. ওহায়িদ, ডা. সাইমুন রাশিন, ডা. রুপালি শিশির বানু, ডা. জাহাঙ্গীর হোসেন, আনিস আলমগীর, ডা. লীমা রহমানসহ প্রমুখ।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।