দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বঘোষিত ধর্মগুরু কালীচরণ মহারাজের মন্তব্য নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে ভারতে। মহাত্মা গান্ধী এবং ইসলামের বিরুদ্ধে মন্তব্য করায় ভারতে হিন্দু ওই নেতার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
হরিদ্বারের ধর্ম সংসদ বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই আরও এক ধর্মীয় সভায় ধর্মগুরুর মন্তব্য নিয়ে সরগরম হতে শুরু করেছে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গন। দেশটির ছত্তিশগড়ে আয়োজিত ধর্মীয় সভায় স্বঘোষিত ধর্মগুরু কালীচরণ মহারাজের মন্তব্য নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসের স্তূতি উঠে আসে তার ওই মন্তব্যে। এই মন্তব্যের জেরেই স্বঘোষিত ধর্মগুরু কালীপুত্র কালীচরণ মহারাজ পড়েছেন বিতর্কের ওই জালে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ছত্তিশগড়ের রায়পুরে এক ‘ধর্ম সংসদে’ রবিবার ওই হিন্দু নেতা ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধেও মন্তব্য করেছেন। তার বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
সাধু কালিচরণ মহারাজের বিতর্কিত বক্তব্যের জেরে ধর্ম সংসদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক মহান্ত রামসুন্দর দাস শেষ পর্যন্ত ক্ষোভে মঞ্চ ছেড়ে চলে যান। সাবেক মেয়র প্রমোদ দুবে অভিযোগ দায়েরের পর কালিচরণ মহারাজের বিরুদ্ধে সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টির অভিযোগও আনা হয়েছে।
হিন্দু ধর্মের ওই নেতার বিরুদ্ধে মানহানি হামলারও আহ্বান জানান রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেসের রাজ্য প্রধান মোহন মারকাম।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, কালিচরণ মহারাজ তার বক্তব্যে বলেছেন, ইসলামের লক্ষ্য হলো রাজনীতির মাধ্যমে পুরো দেশ দখল করে নেওয়া। তিনি আরও বলেন যে, ‘মোহনদাস করমচাদ গান্ধী দেশ ধ্বংস করেছেন… তাকে হত্যা করা নথুরাম গডসে-কে স্যালুট।’ তিনি হিন্দুত্ববাদ রক্ষায় কট্টর হিন্দু নেতা নির্বাচন করতে দেশের মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তার এই বক্তব্যের পর তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানান ছত্তিশগড়ের দুবাধারী মন্দিরের মহান্ত রামসুন্দর দাস। তিনি বলেন, দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন মহাত্মা গান্ধী – তার বিনিময়ে এই ধরণের নিপীড়নমূলক মন্তব্য পেতে পারেন না।
রামসুন্দর দাস বলেন, ‘এই মঞ্চ হতে মহাত্মা গান্ধীকে অপমান করা হয়েছে – আমি এর বিরোধিতা করেছি। এটা সনাতন ধর্ম নয়, এমনকি ধর্ম সংসদের মতো প্লাটফর্মে এই ধরনের ঘটনাও হওয়া উচিত হয়নি।’ তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘এই দেশে যেখানে ৩০ কোটি মুসলিম বসবাস করে, ২৫ কোটি খ্রিস্টান বসবাস করে, সেটি আপনারা বললেই কী কখনও হিন্দু রাষ্ট্র হয়ে যাবে?’
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।