দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা সবাই জানি আখের রস সাধারণত গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহে গলদঘর্ম অবস্থায় এক গ্লাস মিষ্টি আখের রস মন প্রাণ জুড়িয়ে দিয়ে থাকে। তবে শুধু গ্রীষ্মকালই নয়, শীতেও সুস্থ থাকতে খাওয়া যাবে আখের রস।
কী গুণ রয়েছে এই আখের রসে?
# আখের রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট যা শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন নির্মুল করে শরীরকে মূলত ভিতর থেকে ঝরঝরে করে তোলে।
# পটাশিয়াম সমৃদ্ধ আখের রস শীতকালে হাড়ের ক্ষয় রোধ করে থাকে।
# পিত্তাশয় এবং যকৃত সুস্থ রাখতে আখের রস কাজ করে অনেকটা ম্যাজিকের মতো। মূত্রনালীর সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে আখের রস। জন্ডিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য আখের খুবই উপকারী।
# ত্বকের অকাল-বার্ধক্য রোধ করতেও অনেকেই বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকেন। তবে হয়তো জানেন না, আখের রসে থাকা আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড ত্বকের কুঁচকে যাওয়া ভাব রোধ করে। শীতকালে মাথায় খুশকির পরিমাণ খুব বেশি হয়ে থাকে। মাথার খুশকি এবং ত্বকের অবাঞ্ছিত ব্রোণ তাড়াতেও আখের রসের জুড়ি নেই।
# আখের রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং মাইক্র মিনারেলস। যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে থাকে। আখের রস শারীরি দুর্বলতা কাটিয়ে শরীরকে করে তোলে আরও ঝরঝরে ও তরতাজা।
# তাছাড়াও শীতকালে অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের সুস্থতায় আখের রস খুবই উপকারী একটি জিনিস। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় শরীর ঠাণ্ডা রাখতে আখের রস বেশ কার্যকর একটি জিনিস। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।