দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গরমের সময় অনেকেই গলা ভেজাতে ভরসা রাখেন আখের রসের উপর। শরীরের জন্যও অত্যন্ত উপকারী এই পানীয়। কারণ এটি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে। কিন্তু ডায়াবেটিসের রোগীদের ক্ষেত্রে কী হবে?
আমরা সবাই জানি ডায়াবেটিস মানেই অনেক কিছু খাওয়া বারণ। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাওয়া-দাওয়ায় বিধিনিষেধ মেনে চলার বিকল্প নেই। বিশেষ করে মিষ্টি জাতীয় খাবার, ফলমূল, মাটির নীচের সব্জি কোনও কিছুই খাওয়া যায় না ডায়াবেটিসের রোগীদের।
ডায়াবেটিস রোগীদের আখের রস খেলে কি শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে?
চিকিৎসকরা মনে করেন, এক গ্লাস আখের রসে থাকে ১৮০ গ্রাম ক্যালোরি, ৭৫ শতাংশ পানি, ১৫ শতাংশ সুক্রোজ ও ১৫ শতাংশ ডায়েটারি ফাইবার। যেটি ভিতর থেকে সুস্থ রাখে শরীর। তাছাড়াও আখের রসে রয়েছে ফেনোলিক যৌগ, উদ্ভিদ স্টেরল ও পলিকোসানোলসহ বিভিন্ন ফাইটোকেমিক্যাল। এই ফাইটোক্যাকেমিক্যাল গুলো কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে। পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রণসমৃদ্ধ আখের রস শরীরের আরও অনেক ধরনের সমস্যা কমিয়ে দিতে পারে। এতো গুণ থাকা সত্ত্বেও আখের রস ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ।
আখের রসে সুক্রোজের পরিমাণও বেশি। যা ডায়াবেটিসের মাত্রা এক ধাক্কায় বাড়িয়েও দিতে পারে। সুক্রোজ ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। শরীর ঠাণ্ডা রাখলেও আখের রস ডায়াবেটিসের মাত্রা কমাতে পারে না। বরং ডায়াবেটিস আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের আখের রস খাওয়া যাবে না। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।