দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ খাতা-কলমে ন’টা-ছ’টা ডিউটি হলেও কাজের চাপে কখনও কখনও ১২ ঘণ্টা পেরিয়ে যায়, তা বোঝায় যায় না! এই সমস্যা এড়াতে স্যামসাং বাজারে আনতে যাচ্ছে বিশেষ মাউস যা আপনাকে অতিরিক্ত কাজ করতে বাধা দেবে।
আপনার অফিসে ঢোকার সময় নির্দিষ্ট থাকলেও অফিস থেকে কখন বের হবেন, সেই সময়টি কারও জানা থাকে না। খাতায়-কলমে ৯ টা-৬ টা ডিউটি হলেও কাজের চাপে কখনও কখনও ১২ ঘণ্টা পেরিয়ে যায়, তা বুঝতেই পারেন না অনেকেই! অত্যাধিক কাজের চাপে বাড়ে মানসিক ক্লান্তিও। শরীরে বাসা বাঁধে একাধিক জটিল অসুখও।
এই সমস্যা এড়াতে স্যামসাং এবার আনছে এক নতুন ধরনের মাউস, যা আপনাকে অতিরিক্ত কাজ করতে বাধা সৃষ্টি করবে। হয়তো ভাবছেন, এটা কীভাবে সম্ভব? কর্মক্ষেত্রে কাজের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য এই কোরিয়ান সংস্থাটি এক অভিনব মাউসের ভাবনা নিয়ে এলো, যা আপনাকে অফিসে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই কাজ করতে উৎসাহিত করবে। তাহলে কী এই মাউসের বিশেষত্ব? আপনার নির্দিষ্ট কাজের সময়ের পর এই মাউসটি নিজে থেকেই কাজ করা বন্ধ করে দেবে!
সংস্থার ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়, যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, এক ব্যক্তি সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পরও কাজ করতে চাইছেন। তবে তার মাউসটি কিছুতেই যেনো হাতে ধরা দিচ্ছে না। রীতিমতো পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ভিডিওটি ছিলো বেশ মজার! ওই ব্যক্তি কিছুতেই আর মাউসের নাগাল পেলেন না।
জানা গেছে, এই মাউসটি একটি জিনি মাউসের মতোই কাজ করবে। এতে বসানো থাকবে বিশেষ এক ধরনের সেন্সর, যা আপনাকে অতিরিক্ত কাজ করতে বাধা সৃষ্টি করবে। যদিও সংস্থার তরফ হতে এই মাউসের কী নাম রাখা হবে, তার কোনও ঘোষণা এখনও দেওয়া হয়নি। অতিরিক্ত কাজের ধকল থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখা ভীষণভাবেই জরুরি। শারীরিক এবং মানসিক ধকলের প্রভাবে ব্যক্তিগত এবং কর্মজীবন দুই-ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নতুন এই মাউস বাজারে এনে কর্মজীবনকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বেঁধে ফেলার বার্তা দিতে চলেছে স্যামসাং। তবে কবে নাগাদ এই নতুন মাউসটি বাজারে আসছে এবং এর দামই বা কতো হবে, সে বিষয়ে কোনও তথ্য দেয়নি সংস্থাটি। তথ্যসূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।